অনলাইনে মগজধোলাই হয়েছিল মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই কলেজ পড়ুয়া জঙ্গির

0
76

বহরমপুর: গ্রামে খুব একটা বেশি মেলামেশা করে না ছেলে। গ্রামের বাইরেও খুব একটা যাতায়াত নেই। সেই ছেলেদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গিযোগের কারণে। তাও আবার আল-কায়েদার মতো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। যা কিছুতেই মানতে পারছে না পরিজনেরা। যদিও জঙ্গি যোগে ধৃত কলেজ পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন- হাওড়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিজেদের পতাকা পোড়াল কংগ্রেসকর্মীরা

- Advertisement -

শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদ থেকে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে দুই কলেজ পড়ুয়া রয়েছে। এদের নাম হল নাজমুস সাকিব এবং আতিউর রহমান। এরা দু’জনেই কলেজ পড়ুয়া। আপাত নিরীহ এই দুই পড়ুয়ার জঙ্গি দলে নাম লেখানো নিয়ে হতবাক সকলেই।

কী করে জঙ্গি হয়ে গেল এই ছেলেরা। বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন এনআইএ আধিকারিকেরা। তাঁদের বক্তব হচ্ছে, “নানা উপায়ে নিজেদের মডিউল তৈরি করে জঙ্গিরা। অভাবী পরিবারের ছেলেরা এদের সফট টার্গেট হয়। আর কম বয়সীদের দলে টানা খুবই সহজ।”

আরও পড়ুন- তৃণমূল জমানায় জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বাংলা, দাবি বাবুলের

নাজমুস সাকিব এবং আতিউর রহমানের ক্ষেত্রে এই কাজ হয়েছে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায়। এমনই দাবি গোয়েন্দাদের। তাঁদের দাবি, “ওই দুই পড়ুয়ার মগজধোলাই হয়েছিল অনলাইনে। ওই অনলাইন উপায়ের তাদের পড়ানো হয়েছে বেশ কিছু জেহাদি বই এবং পত্র-পত্রিকা। প্ররচিত করা হয়েছে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদায় নাম লেখানোর জন্য।”

ধৃতদের মধ্যে ডোমকলের বাসিন্দা নাজমুস সাকিব বসন্তপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার ঘর থেকে মোবাইল ফোন, চার্জার, ল্যাপটপ এবং ধর্মীয় বই বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ আধিকারিকেরা। এই প্রসঙ্গে ধৃত নাজমুসের দাদা রিজওয়ান বলেছেন, “আমার ভাই নির্দোষ। যে কখনও মুর্শিদাবাদের বাইরেই গেল না, সে জঙ্গি হয়ে গেল!” নাজমুসের ঘর থেকে যে ধর্মীয় কাগজ উদ্ধার হয়েছে সেখানে রাতের নমাজ পড়ার পদ্ধতি বাংলায় লেখা ছিল বলে জানিয়েছেন রিজওয়ান আলি।

আরও পড়ুন- বাংলা না বোমা তৈরির কারখানা, আল কায়েদার জঙ্গি গ্রেফতার ইস্যুতে মমতাকে নিশানা রাজ্যপালের

অন্যদিকে আতিউর রহমান নদিয়া জেলার করিমপুরে নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র। জঙ্গিযোগে ধৃত এই ব্যক্তির বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গির ঘোষপাড়া এলাকায়। তার বাড়ি থেকেও বেশ কিছু নথি এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। এলাকায় বিশেষ বন্ধু ছিল না আতিউরের, তাই মেলামেশাও খুব একটা করতো না সে। করোনা আবহে কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতেই দিন কাটছিল তার।