মহামারি পরিবর্তন হচ্ছে, ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ হু-এর

0
187

মানিলা: করোনা ভাইরাস আক্রমণের পর থেকেই বিশ্বের বয়স্ক ও শিশুদের জন্য আশঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রধানও ১০ বছরের কম বয়সী ও ৫৫ ঊর্ধ্ব বয়সীদের এই ভাইরাস আক্রমণ করছিল। মূলত শরীরে ইমিউনিটি শক্তি কম থাকায় এই বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছিলেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই হিসেবের পরিবর্তন ঘটেছে। ৫০ বছরের কম ও ২০ বছরের বেশি মানুষদের মধ্যেও এই সংক্রমণ বেশি মাত্রায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

আরও পড়ুন- পিএম কেয়ারের টাকা বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে স্থানান্তরিত করার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

- Advertisement -

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০, ৩০, ৪০ বছর বয়সীরা যাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগই জানেন না তাঁরা সংক্রামিত। ফলে যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সেইসব এলাকায় নির্বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। ফলে তাঁদের থেকে বাড়ছে সংক্রমণের সম্ভাবনা।

এমনই আশঙ্কা প্ৰকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার বলে, এই মাসে সংক্রামিতদের মধ্যে তরুণদের অনুপাত বিশ্ব ব্যাপী অনেকাংশে বেড়েছে। ফলে বিশ্ব ব্যাপী জনসংখ্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় দুর্বল স্বাস্থ্যসেবাধীন ঘনজনবসতিতে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি বাড়ছে।

হু-এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মহামারির বদলে যাচ্ছে। ২০, ৩০, ৪০ বছর বয়সীরা ক্রমবর্ধমানভাবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তারমধ্যে অনেকের কাছে অজানা এই বিষয়টি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি যে কেবল পুনরুত্থান নয়, আমরা বিশ্বাস করি এটা একটা সঙ্কেত যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় এই মহামারি একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।’

আরও পড়ুন- নেতাজিকে ‘মৃত্যুবার্ষিকী’র সম্মান জানিয়ে বিপাকে কেজরিওয়াল

তীব্র সংক্রমণের ফলে কিছু দেশ আবার পুনরায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করেছে। ফলে আবার দেশের অর্থনীতি ক্ষতির মুখে যাচ্ছে। সঙ্গে শুরু হয়েছে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বার করার প্রতিযোগিতা। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। ২২ মিলিয়ন মানুষ সংক্রামিত। ভিয়েতনাম সহ কয়েকটি দেশে এই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে আবার এইসব জায়গায় নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় আশঙ্কা বাড়ছে।