পিএম কেয়ারের টাকা বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে স্থানান্তরিত করার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

0
907

নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় দেশবাসীর কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষ্যে তৈরি করেছেন ‘পিএম কেয়ার ফান্ড’। সেই তহবিলে জমা পড়েছে কোটি কোটি টাকা। সেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে স্থানান্তরিত করা বিষয়ে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। এই মর্মে শীর্ষ কোর্টে মামলা দায়ের করে একটি এনজিও। সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, করোনার জন্য তৈরি হওয়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল (পিএম কেয়ার) থেকে অর্থ কোনোভাবেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে স্থানান্তরিত করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিজেশন নামক এই এনজিও শীর্ষ আদালতের কাছে এই আবেদন রাখে। তাঁদের বক্তব্য পিএম কেয়ারে জমা অর্থ থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে কিছু পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরিত করার আদেশ। পাশাপাশি এও বলা হয় আবেদনেপিএম কেয়ার ফান্ড, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেছে।

- Advertisement -

তবে সেই আদেশ খারিজ করে শীর্ষ আদালত বলে, যেকোনো অবদান বা অনুদান জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে জমা দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়াও যে কেউ বিপর্যয় তহবিলে অর্থ দিতে পারেন, কিন্তু কোনোভাবেই পিএম কেয়ারে সংগৃহিত অর্থ স্থানান্তরিত করা যাবে না।

মঙ্গলবার বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আর. সুভাষ রেড্ডি ও বিচারপতি এম. আর শাহ। পূর্বেও এই পিএম কেয়ার ফান্ডের বৈধতা নিয়ে প্ৰশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। মূলত এই প্রশ্নে বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ শানায়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ তহবিল গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তহবিলে দেশবাসীকে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক অনুদানের আর্জি জানান তিনি। এই তহবিলের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বয়ং। এছাড়াও সদস্য হিসাবে রয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।