এক পায়ে বাংলা, দুই পায়ে দিল্লি দখলের দাবি মমতার

0
193

চুঁচুড়া: খেলা হবে স্লোগান দিয়ে খেলাত শুরুতেই পায়ে চোট পেয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অবস্থাতেই চালাচ্ছেন প্রচার। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভোট হয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে ফিরে তিনি বলেছিলেন, “ভাঙা পায়েই খেলা হবে।” সেই ধারা বজায় রেখে সোমবার দিল্লি দখলের ডাক দিলেন মমতা।

আরও পড়ুন- প্রচারে আমার বিরুদ্ধে মন্তব্য করবেন না জয়া বচ্চন: বাবুল সুপ্রিয়

- Advertisement -

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নির্বাচনী জনসভায় হাজির ছিলেন হুগলী জেলার দেবানন্দপুরে। পোর্তুগিজদের উপনিবেশস্থল চুঁচুড়ায় দাঁড়িয়ে আরও একবার দিল্লি দখলের ডাক দিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল জিতবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন মমতা বলেছেন, “একটা পা নিয়েই বাংলা জয় করব এবং ভবিষ্যতে দিল্লি দখল করব দুই পা নিয়ে।”

আরও পড়ুন- প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে বৈশালী, স্থানীয়দের বাধায় এলাকা ছাড়েন বিজেপি প্রার্থী

দেবানন্দপুর জায়গাটি হগলী লোকসভা এবং চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে পরে। ২০১৯ সালে হুগলী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লকেটদেবী প্রার্থী হয়েছেন চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে। সেখানে দাঁড়িয়ে মমতা “সারদা’র লকেট” বলে বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করেছেন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকজন সাংসদকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। যা নিয়েও এদিন কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। তিনি বলেছেন, “বিজেপি প্রার্থী করার জন্য স্থানীয় কাউকে খুঁজে পায়নি। সেই কারণে ওরা(বিজেপি) তৃণমূল আর সিপিএম-র থেকে প্রার্থী ধার করেছে।” একই সঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, “জলের মতো পয়সা খরচা করছে বিজেপি। বিজেপির নেতারা সোনার বাংলা কথাটাই বাংলায় স্পষ্ট করে বলতে পারে না। ওরা বাংলা শাসন করতেও পারবে না।”

আরও পড়ুন- ‘হিন্দুদের ভোট করতে দিতে চান না, এটাই মমতার আসল চেহারা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও বিজেপির আঁতাত রয়েছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন আট দফায় ভোট করার যৌক্তিকতা নিয়ে। তিনি বলেছেন, “আট দফায় ভোট করার কী দরকার ছিল? এই সবই হয়েছে বিজেপির কারণে। করোনা আবহে কম সময়ের মধ্যে ভোটের ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলা যেতো না?”