তেজস্বী-অখিলেশ কী বহিরাগত নয়, তৃণমূলকে প্রশ্ন জয়ের

0
420

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ার কথা বলেছেন তেজস্বী যাদব এবং অখিলেশ যাদব। তৃণমূলকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন শরদ পাওয়ার। যা নিয়ে ঘাস ফুল শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- আহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে বিপাকে সিপিএম বিধায়ক

- Advertisement -

বাংলার মাটিতে বিজেপির কোনও সংগঠক নেই। এই রাজ্যে থাকা দলের নেতাকর্মীদের উপরে ভরসা নেই। সেই কারণে ভিন রাজ্য থেকে পদ্ম শিবিরের নেতাদের নিয়ে আসা হচ্ছে প্রচারের জন্য। ভিন রাজ্য থেকে আগত এই সকল নেতাদের বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল। প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে নাম উল্লেখ করে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বদের বহিরাগত বলে তোপে দাগেন তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতারা।

আরও পড়ুন- বাংলার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা এবার তৃণমূলে

এরই মাঝে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বার্তা দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। বিহারের প্রাক্তন শাসক আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব আগে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর দল পশ্চিমবঙ্গে জোট করে একাধিক আসনে প্রার্থী দাঁড় করাতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তেজস্বী।

মূলত পশ্চিমবঙ্গের অবাঙালিদের ভোটকেই লক্ষ্য করেছেন তেজস্বী যাদব। বাংলায় থাকা অবাঙালিদের ভোট যাতে বিজেপির ঝুলিতে না যায় সেই কারণেই তেজস্বীর প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে তৃণমূল। একই কারণে তৃণমূলকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন সপা নেতা অখিলেশ যাদব। যিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

আরও পড়ুন- Viral picture: দলত্যাগের আগেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গী তৃণমূল নেতা

এই নিয়েই প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হাওড়া জেলার পাচলায় এক জনসভায় দাঁড়িয়ে জয় বলেন, “তেজস্বী যাদব এসেছিলেন। এরপরে অখিলেশ যাদব এবং শরদ পাওয়ার আসছে শুনছি। কিন্তু বিজেপির নেতাদের বহিরাগত বলছে তৃণমূল।” সেই সঙ্গে ঘাস ফুল শিবিরের প্রতি জয়ের প্রশ্ন, “অন্য রাজ্যের নেতারা তৃণমূলকে সমর্থন করলেই কী সে আর বহিরাগত থাকবে না?”

এরপরে সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে আক্রমণ ছুঁড়ে দিয়েছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “আরে দিদি আমরা তো ভারতের বিভিন্ন এলাকার নেতাদের প্রচারে নিয়ে এসেছি। বাংলার নেতারাও অন্যত্র দলের কাজে যায়। আমরা সবাই ভারতীয়। আপনি তো বাংলাদেশ হয়ে ভারতে আসা মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের ভোটে জিতে সরকার গড়তে চাইছেন।”