আহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে বিপাকে সিপিএম বিধায়ক

0
607

নিজস্ব সংবাদদাতা, ব্যারাকপুর: বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ও তার বৃদ্ধা মা-কে বেধরক মারধর করা হয়েছিল৷ এর ঠিক ছয়দিন পর সিপিএম বিধায়ক তাঁদের বাড়িতে হাজির হন৷ নিমতার ঠাকুরতলা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছিল বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদারের৷ বুধবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন উত্তর দমদমের সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য্য।

বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদার ও তার বৃদ্ধা মা আক্রান্ত হওয়ার ছয় দিনের মাথায় এলাকার সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য্য আক্রান্তের বাড়িতে দেখা করতে যান৷ গোপাল মজুমদার ও স্থানীয় অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা তন্ময় বাবুর উপর প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

- Advertisement -

গোপাল মজুমদার বলেন, “রাজনীতি পরে, আগে আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমার এলাকার বিধায়ক তন্ময় বাবু। আমার এবং বয়স্ক মায়ের উপর নির্মম নির্যাতনের ছয় দিন পর উনি দেখা করার সময় পেলেন। এসে বললেন ঘটনার তিন দিন পর ব্রিগেড সমাবেশ ছিল আমাদের দলের৷ তা নিয়ে অত্যন্ত ব্যাস্ত ছিলাম। আগে ওনার দলীয় কর্মসূচি? যাই হোক এতদিন পর না আসলেও হত। তাই বিধায়কের উপর আমার রাগ।”

এদি,কে এদিন গোপাল বাবুর সঙ্গে দেখা করে তার ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, “আমি সময় পাইনি৷ তাই আগে আসার ইচ্ছে থাকলেও আসতে পারিনি। ঘটনার ছয় দিন পর দেখতে আসাটা অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, এটা মেনে নিচ্ছি। বিজেপি কর্মী গোপালের আমার উপর রাগ নয় অভিমান ছিল। আমি বলব, যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তার যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি।’’

তাঁর কথায়, ‘‘অভিযুক্তরা কি করে এই নির্যাতনের ঘটনায় অগ্রিম জামিন পেল? কি কি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ? শাসক দল এই ঘটনাকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। শুনেছি ওরা বলছে জমি দখল সংক্রান্ত বিষয়। সেটাও তো দেখার দায়িত্ব শাসক দলের, কারণ উত্তর দমদম পুরসভা ওরাই পরিচালনা করে। এই এলাকাটি সন্ত্রাস কবলিত এলাকা। আমি এই এলাকায় শান্তি ফেরাতে গত পাঁচ বছরে ৪ টি সভা করেছি। এখন আগের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।’’

বিধায়কের মতে, ‘‘সামনেই ২০২১ নির্বাচন। বাংলার মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে বাংলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে সেই সরকারকে ক্ষমতায় আনবে বলে আমার বিশ্বাস। আর যে কোন মানুষের নির্দিষ্ট মতামত থাকতেই পারে, তার জন্য তার উপর হামলা করতে হবে? এই অধিকার কেউ কাউকে দেয়নি। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে কাজ করেনি। যার ফলে এই ঘটনায় অভিযুক্তরা অধরা।”

তন্ময় ভট্টাচার্য্য নিমতায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গেলে অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিপিএম বিধায়ক এখানে রাজনীতি করতে এসেছেন। পাল্টা তন্ময় ভট্টাচার্য্য ওই বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি কখন কোথায় যাব তার কি কৈফিয়ত দেব ওদের? ওদের যেরকম সংস্কৃতি সেরকম আচরণ করেছে। তবে আমি মনে করেছিলাম বিজেপি কর্মী হলেও নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকা উচিত, রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে আমি আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে এসে দেখা করলাম। ওর মা হাসপাতালে এখনও ভরতি। আশা করব উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।”