খাস ডেস্ক: সমকামী নিষিদ্ধ কাতারে৷ তাই বাধ্য হয়ে ঘর ছাড়লেন রাজকন্যা (Princess)৷ এই প্রথম নয় বা শুধু রাজকন্যাই নয়৷ এর আগে বহু মানুষ এই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন৷ এমনিতেই কাতার কঠোর ইসলামিক একটি দেশ৷ এই ঘটনার পর ফের আলোচনায় উঠে এসেছে কাতার৷
আরও পড়ুন: বন্য হাতির পালের আক্রমণে ১ শিশু সহ মৃত ৩
রাজকুমারীও তার দেশের একটি আইনের কারণে তার পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ করে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন৷ ওই রাজকন্যার কথায়, ‘‘আমি কাতারের শাসক পরিবার আল থানির সদস্য৷ আমাদের দেশে সমকামীতা নিষিদ্ধ৷ আমাদের কাতারে সমকামীতার জন্য তিন বছরের শাস্তি দেওয়া হয়৷ কিন্তু আমি নিজেই সমকামী৷’’
আরও পড়ুন: ১২ বছরের কিশোরকে একাধিকবার ধর্ষণ, পলাতক মাদ্রাসার শিক্ষক
লন্ডনের সানডে টাইমস সংবাদমাধ্যের মাধ্যে তিনি আরও বলেন, ‘‘রূপান্তরকামী হলে কড়া শাস্তি হতে পারে আমার৷ তাই বাড়ি থেকে পালিয়েছি৷ এরপর আমি ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়েছিলাম৷ আমার শৈশবটা কঠিন ছিল৷ আমি একজন নারী হয়ে জন্ম নিয়েছি ঠিকই৷ কিন্তু আমি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের শরীরে পরিবর্তন দেখেছি৷’’
আরও পড়ুন: উদ্ধার সরকারি হাসপাতালের কর্মীর ঝুলন্ত দেহ
রাজকুমারীর কথায়, ‘‘আমি চাই না আমার সঙ্গে আমার কোনো ভাইয়ের বিয়ে হোক৷ তাই নিরাপত্তার জন্য আমি আমার বাড়ি ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছি৷’’ ব্রিটেন সরকারের কাছে থাকা রাজকুমারীর নথি অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে বেড়াতে গিয়েছিলেন৷ সেই সময় তিনি এক বন্ধুকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান৷