এগরাঃ এগরার খাদিকুলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Egra Explosion) ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে ভানু বাগের কারখানা অর্থাৎ ‘মা সারদা আতস বাজি ভাণ্ডারের’ লাইসেন্স দিয়েছিল তৃণমূল চালিত পঞ্চায়েতই। ২০১৯ সালে এই পঞ্চায়েত থেকেই ভানু বাগ লাইসেন্স পান। সেখানে সই ছিল পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিলতা দাসের।
আরও পড়ুন :অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনা! কার্বাইড পড়ে বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ২
যদিও বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেছেন এগরা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রভুপদ দাসের। সম্পর্কে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তাঁর দাবি, যিনি সেক্রেটারি রয়েছেন ট্যাক্স কালেক্টরকে লাইসেন্সের বই দিয়ে দেন। সেই বইয়ে একসঙ্গে ৩০০, ৪০০ স্লিপে সই করে দেন প্রধান। তাই প্রধানের পক্ষে কোথায় কি সাক্ষর হয়েছে জানা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন :“পূর্ব বর্ধমানে ১৬ তে ১৬ হচ্ছে, আর বাঁকুড়ায় ১২-র মধ্যে ৪ কেন?” প্রশ্ন ‘যুবরাজের’
সেই সঙ্গে আরও একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। ২০১৯ সালে লাইসেন্স নিলেও এরপর আর লাইসেন্স রিনিউ করান নি ভানু। অর্থাৎ মাঝের কয়েক বছর কোন রকম লাইসেন্স ছাড়াই পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে এত বড় বাজি কারখানা চলেছে। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কি ভাবে তা সম্ভব হল। উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Egra Explosion) পর স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, খাদিকুল গ্রামের তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি চলছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তদন্তে নেমে কারখানায় বাজির বদলে বোমা বিস্ফোরণকে শিলমোহর দেয় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।