তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: যেমন বুনো ওল, তেমন বাঘা তেঁতুল! অনেকটা সেই স্টাইলেই রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বাঁকুড়াতেও উৎসবের মেজাজে শো-কজের জবাব দিলেন শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার দুপুরে বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয় থেকে ঢাক-ঢোল সহযোগে মিছিল করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) এর দফতরে গিয়ে ‘শো-কজে’র জবাব দেন মাস্টারমশাইয়েরা।
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ প্রদান সহ একাধিক দাবিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১০ মার্চ ধর্মঘট পালন করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে’র সদস্যরা। এরপরই কর্মক্ষেত্রে ‘অনুপস্থিত’ শিক্ষক ও কর্মচারীদের শো-কজ করা হয় সরকারিভাবে। পাল্টা হিসেবে এদিন রীতিমতো উৎসবের মেজাজে সেই শোকজের জবাব দিলেন শিক্ষকরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে শিক্ষক প্রাণকৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা ভয় পাই না। আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আগামী বৃহস্পতিবার ওই একই দাবিতে কর্মবিরতি পালন হবে।’’ এদিন জেলার প্রায় ১৫০০ শিক্ষক শো-কজের জবাব দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
বস্তুত, সরকারি কর্মচারীদের ডাকা ৬ এপ্রিলের কর্মবিরতি ভাঙতে এবার পাল্টা ময়দানে নামবেন কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্যরা৷ জানা গিয়েছে, আন্দোলন ভাঙতে সংশ্লিষ্ট দিনে তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মীরা তৈরি থাকবেন৷ কেউ বাধা দিতে এলে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃত্ব৷ তাঁদের অভিযোগ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে৷ সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েও কাজ করছে না৷ এর ফলে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন৷ তাই সরকারি অফিস চালু রাখার স্বার্থেই তাঁরা ৬ এপ্রিলের কর্মবিরতি বানচাল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন৷ অন্যদিকে আন্দোলনকারীরাও নিজেদের দাবিতে অনড়৷ স্বভাবতই, আগামী বৃহস্পতিবার গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না কোনও পক্ষই৷
আরও পড়ুন: অরিজিৎ সিংয়ের লাইভ কনসার্ট, শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সাজো সাজো রব