তনুজ জৈন, হরিশ্চন্দ্রপুর: ফের দুর্নীতির অভিযোগ এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ এবার কৃষক বন্ধুর টাকা নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে কাঠগড়ায় ঘাষফুল শিবির৷ নিজেদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের নামে আইডি এক্টিভ থাকলেও সেই টাকা ঢুকছে অন্য অ্যাকাউন্টে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে৷
শুধু তাই নয় নাবালকদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানেও নাকি টাকা পাঠানো হচ্ছে৷ উঠছে অভিযোগ৷ দুর্নীতির পিছনে রয়েছে সক্রিয় দালাল চক্র। কিন্তু কোন খবর নেই প্রশাসনের কাছে। আর দুর্নীতির বিষয় সামনে আসতেই আজব যুক্তি তৃণমূলের। ঘাষফুল শিবিরের দাবি, প্রশাসনে বিজেপির লোকেরাই বসে আছে। সম্পূর্ণ দুর্নীতিই হচ্ছে তৃণমূলের মদতে অভিযোগ বিজেপির।
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। এবার দুর্নীতির অভিযোগ মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে। যেখানে বন্যাত্রাণ থেকে শুরু করে বারবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা দালাল চক্রের মাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। এবার সেখানেই হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের তেলজান্না সুইস গেট এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক ‘কৃষক বন্ধুর’ টাকা থেকে বঞ্চিত।
অভিযোগ, নির্দিষ্ট জমির ভিত্তিতে সেই কৃষকদের আইডি হয়েছে। কিন্তু কৃষক বন্ধুর টাকা ঢোকেনি তাঁদের অ্যাকাউন্টে। স্থানীয় সিএসপিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের প্রাপ্য টাকা ঢুকছে নাবালকদের অ্যাকাউন্টে। একজনের কাছেই থাকছে ১০০ থেকে ১৫০ টি অ্যাকাউন্ট। তার মাধ্যমেই চলছে দুর্নীতি।
একই পরিবারের পাঁচ থেকে ছয়জন নাবালোকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে টাকা। এমনকি বিহারের অ্যাকাউন্টেও টাকা যাচ্ছে বাংলার কৃষকদের। কিন্তু প্রশ্ন কিভাবে সম্ভব হচ্ছে এই ধরনের জালিয়াতি। তবে কি দালালদের সঙ্গে যুক্ত থাকছে প্রশাসনের একাংশ। এত বড় জালিয়াতি হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে টের পাচ্ছে না প্রশাসন। উঠছে একাধিক প্রশ্ন৷
প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, কৃষকরা তাঁদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ এলেই প্রশাসন তদন্ত করবে। আবার তৃণমূলের দাবি, ব্যালট ভোটের বেশির ভাগটাই পাচ্ছে বিজেপি। অর্থাৎ প্রশাসনে বিজেপির বেশি লোক বসে রয়েছে। তাদের মদতেই এটা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের এই কাটমানি সংস্কৃতি নতুন নয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলেছে। এভাবে ব্লক জেলা থেকে রাজ্য পর্যন্ত টাকা আত্মসাৎ করছে তৃণমূল নেতারা।