খাস প্রতিবেদন: পেটের দায়ে রেলের হকারিকেই আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছিলেন ওরা৷ রীতিমতো ঘাম ঝরানো মেহনত৷ যার দৌলতে দুটো ভাত-রুটি জুটতো পরিবারের সদস্যদের মুখে৷ রেলের (Indian railways) নয়া সিদ্ধান্তের ফলে সেই ঝলসানো রুটিও বন্ধ হতে চলেছে বাংলার ৪৭টি ট্রেনের হকারদের৷ রেলের এমন কর্মনাশা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাই এককাট্টা হয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছেন হকারেরা৷ তাঁদের সাফ কথা, ৪৭ দিয়ে শুরু করে একে একে সবেতেই এই নিয়ম চালু হবে। তাই, এর প্রতিবাদে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পথে নামতে চলেছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন এর হকার সংগঠন বঙ্গীয় হকার সম্মেলন৷
সংগঠনের ইস্টার্ন জোনের সম্পাদক নাদিম হোসেন মল্লিক এদিন রেল কর্তাদের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এনেছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘রেলের দোকান থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা টেন্ডার শুধু বহিরাগতরাই পায় কেন? কেন IRCTC-র কোনও দোকানে বাঙালি ছেলে-মেয়ে দেখতে পাওয়া যায় না?’’ খানিক থেমে উত্তরও দিয়েছেন নিজেই৷ নাদিম বলেন, ‘‘রেল স্টেশন উন্নয়নের নামে রেল স্টেশন বেসরকারিকরণ বহুদিন আগে শুরু করেছে রেল। এটা তারই প্রথম ধাপ৷ এবার দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে রেলে হকারদের ওঠা বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে৷’’
জানা গিয়েছে, কেউ দেড় দশক, কেউ বা আড়াই দশক ধরে হকারি করছেন ট্রেনে৷ এমন ৪৭ টি ট্রেনে আর উঠতে পারবেন না বাংলার হকারেরা৷ কারণ, এই ট্রেনগুলোতে বাংলার হকারদের জায়গায় নয়ডার একটি কোম্পানি খাবার বিক্রির টেন্ডার পেয়েছে৷ ফলে রাতারাতি কর্মচ্যুত হতে চলেছেন ৪৭ টি ট্রেনের কয়েক হাজার হকার৷ এরই প্রতিবাদে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পথে নামতে চলেছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন এর হকার সংগঠন বঙ্গীয় হকার সম্মেলন এর হকার ভাইয়ের। তাঁদের হুঁশিয়ারি, পূর্ব রেল যতই বহিরাগতকে বাংলা বেচে দেওয়ার ধান্দা করুক, জাতীয় বাংলা সম্মেলন যতদিন আছে, প্রত্যেক ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে এর হিসেবে হবে। যদিও এই বিষয়ে রেলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবন থেকে সরলেন নন্দিনী, শুভেন্দুর জয় দেখছে বঙ্গ গেরুয়া