খাসডেস্কঃ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকা! অথচ অ্যাকাউন্টধারী জানেন না টাকার উৎস। এমনই বয়ান অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (sukanya mondal)।
আরও পড়ুন : চারিদিকে উৎসবের ছোঁয়া, বেনুবন বিহার মন্দিরে নেমেছে মানুষের ঢল
তাঁর নামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। রয়েছে কোটি কোটি টাকার জমি, চালকল। অথচ যার নামে এত কিছু সে নাকি নিজেই জানেন না। গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুকন্যা মণ্ডল ইডির এই প্রশ্নের জবাবে যা বলেছেন, তার সঙ্গে বিস্তর ফারাক খুঁজে পাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ইডির তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে উঠে এসেছে সেই অসঙ্গতির বিবরণও। সুকন্যার আরও দাবি, তিনি একটি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি করেন। সেই বাবদ প্রাপ্ত বেতন টুকু তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস। জানাচ্ছে ইডি।
আরও পড়ুন :শরদ পাওয়ারের পদত্যাগ প্রত্যাখ্যান করল এনসিপি কোর কমিটি, পাশ করা হল বিশেষ প্রস্তাব
তবে এত সম্পত্তি কোথা থেকে এল? সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সুকন্যা (sukanya mondal)। তবে প্রতিবারের মত ঘুরিয়ে নাক দেখিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডলের কথা মতোই যাবতীয় নথিপত্রে সই করতেন। মেসার্স এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক তিনি। অথচ নিজেই কিছু জানেন না। ভোলেবোম রাইস মিলের ম্যানেজার ও ডিরেক্টর কে? সেই সংক্রান্তও কিছু জানা নেই। ই ডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে সুকন্যার একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি । এমন কি বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের আয়কর রিটার্নে যে ইমেল আইডি রয়েছে। তার সঙ্গেও মিল রয়েছে সুকন্যার ডাক নাম রুবাইয়ের। এই নামে তাঁর কোন ইমেল অ্যাকাউন্ট নেই বলে দায় ঝাড়ার চেষ্টা করেছেন কেষ্ট কন্যা। প্রসঙ্গত যতবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সুকন্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁর বাবার ঘাড়ে দায়ে চাপিয়েছেন। অনেকের মতে নিজেকে আড়াল করতে গিয়ে হয়তো অগোচরেই অনুব্রতর বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন সুকন্যা।