পাপ্পাই মন্ডল, রায়দিঘী: বুধবার রায়দিঘীর কনকনদিঘী এলাকার মানুষ বিএলআরও অফিসের সামনে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায়। মূলত তাদের অভিযোগ বিএলআরও টাকার বিনিময় মিথ্যে রেকর্ড বার করছে। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি কোন কথাই বলেন না।
স্থানীয় সূত্রে খবর বেশিরভাগ দিনে তিনি নিজের দফতর উপস্থিত থাকেন না। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পাট্টা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র সঠিক ভাবে জমা দেওয়ার পরেও ফেলে রেখে দিচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জাল পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। যার ফলেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মনোরঞ্জন দেব বলেন, “বিএলআরও মহাশয়া সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা ছাড়া অন্য কোন কাজ করেন না। দালালে ছেয়ে গেছে সম্পূর্ণ অফিস। এমলএ, বিডিও, ও পঞ্চায়েত সদস্য কারোর কথাই তিনি শোনেন না।”
তিনি আরও বলেন, ” দিনের পর দিন এখানে দাদাগিরি চালিয়ে যাচ্ছেন আধিকারিররা, টাকার বিনিময়ে তিনি মিথ্যে রেকর্ড বার করছেন।বিএলআরও-র অপসরণের দাবি জানিয়ে আমাদের এই বিক্ষোভ।”
প্রকৃত জমির মালিকেরা জমির অধিকার পাচ্ছে না। যা নিয়ে বিএলআরও অফিসের সামনে আন্দোলন করতে থাকে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রাক্তন উপপ্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য
দ্রোনা হালদার বলেন, ” অনুসন্ধান না করেই পাট্টা দিয়ে দিচ্ছেন আধিকারিকরা। হাজার হাজার টাকা নিয়েও সাধারণ মানুষের কাজ করে দেননি তাঁরা। পাট্টা দেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার দাবি করেছিলাম আমারা। সেই কাজটাও অসম্পূর্ণ অবস্থায় ফেলে রেখে দিয়েছেন তিনি।”
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়দিঘি থানার পুলিশ। জনসাধারণকে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন পুলিশ আধিকারিক। তবে এলাকার মানুষজনের দাবী যতক্ষণ না এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে এই বিক্ষোভ চলতে থাকবে। অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ভূমি সংস্কার আধিকারিক জানান এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।