শ্যামল নন্দী, বারাসাতঃ বারাসাত কাজীপাড়া এলাকায় নিখোঁজ শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বারাসাত শহর জুড়ে বাচ্চা চুরির অভিযোগ ফেসবুকে ভাইরাল হতে থাকে। বাচ্চা চুরির প্রচার ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে প্রচার করার অভিযোগে আর একজন ব্যক্তিকে মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করল বারাসাত থানার পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হল বারাসাত জেলা আদালতে।
নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন বাবা-মায়েরা। বাচ্চা চুরির সন্দেহ ছড়িয়ে পড়তেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বারাসাত(Barasat)। বুধবার ছেলেধরা সন্দেহে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসাতের শ্রীনগর এলাকায়। বৃহস্পতিবার বারাসাত জেলা পুলিশের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য নয়া উদ্যোগ নেওয়া শুরু করা হয়।
বারাসাত জেলা পুলিশের তরফ থেকে এসপি বারাসাতের উপস্থিতিতেই এক বেসরকারি স্কুলের সামনে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হয়। আতঙ্কে সাধারণ অভিভাবকরা যাতে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত না নেন সেই জন্য তাদেরকে হ্যান্ডবিল বিলি করে প্যানিক দূর করার চেষ্টা করছেন পুলিশ সুপার প্রতিক্ষা ঝারখাড়িয়া। কিছুটা আতঙ্ক মুক্ত হলেও, এখনও আতঙ্কের বাসা বেঁধে আছে অভিভাবকদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, বুধবার বারাসাত(Barasat) কামাখ্যা মন্দির এলাকায় অটোতে এক মহিলা উঠতে গেলে তাকে বাচ্চা চোর বলে সন্দেহ করা হয়। এমনকি তাকে ধরে মারধর করতে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন। এই মারধরের পরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এরপরেই স্থানীয়রা পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত ভাঙচুর করতে শুরু করেন। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তৎপর হন পুলিশ। এরপরে লাঠিচার্জ করে এই বিশৃঙ্খল পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশবাহিনী।