মিলন পণ্ডা, তমলুক: হাসপাতালে বেড থেকে উধাও রোগী৷ ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে তমলুক গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কাউকে না জানিয়ে ওই রোগী পৌঁছে গেলেন বাড়িতে৷ ওই মহিলার নাম বাসন্তী রায় (৫৬)৷ ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷
জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাসন্তী দেবী মহিলা বিভাগে ২০ নম্বর বেডে ভর্তি হন৷ শুক্রবার হাসপাতালের ওই বেড থেকে উধাও হয়ে যান তিনি৷ তাঁর পুত্রবধূ কল্যাণী বিষয়টি হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সদের জানান৷ নার্সরাও লক্ষ্য করেন রোগী নেই। তাঁরাও হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করেন।
খবর পেয়ে নিখোঁজ বাসন্তী দেবীর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা নন্দকুমারের বরগোদাগোদার গ্রাম থেকে এসে পৌঁছান হাসপাতালে। রোগীর খোঁজ না মেলায় ঘটনাটি তমলুক থানায় জানানো হয়। এরপর দুপুর নাগাদ খবর আসে হাসপাতাল পালানো রোগী বাসন্তী রায় পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর বাড়িতে। পায়ে হেঁটে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাসন্তী দেবী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন নিমতৌড়ির দিকে। তারপর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এদিক-ওদিক ঘুরে পৌঁছান বাড়ি। গত বুধবার বিকেলে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও বুক ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল। তার আগেই হাসপাতাল থেকে চলে আসেন বৃদ্ধা। তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল শর্মিষ্ঠা মল্লিক বলেন, ‘‘ওই রোগীর কাছে তাঁর বাড়ির লোক ছিলেন। তা সত্বেও তিনি শয্যা ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা৷’’
ঘটনায় তমলুক থানার আইসি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘রোগী নিখোঁজের খবর পেয়েই আমরা তল্লাশি অভিযান শুরু করি৷ দুপুর নাগাদ খবর পাই উনি পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁকে আর হাসপাতালে ফিরিয়ে আনতে হয়নি৷’’
বাসন্তীদেবীর পুত্রবধূ কল্যাণী বলেন, ‘‘রাত ৩ টে পর্যন্ত জেগেই ছিলাম। তারপর চোখটা লেগে গিয়েছিল। ঘটনখানেক পর চোখ খুলতেই দেখি মা নেই৷’’