হুগলি: শহর ও শহরতলি জুড়ে অবৈধ বাড়ি বা ফ্ল্যাট নির্মাণ নতুন নয়। প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে কিভাবে এই নির্মাণ কাজ হয় এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। জানানো হয় ভেঙ্গে ফেলারও। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভার ৭ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি অবৈধ নির্মান হওয়া ফ্যাটের একাংশ ভাঙার কাজ শুরু হল। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনার নির্দেশেই অবৈধ নির্মাণ ভেঙ্গেও ফেলার কাজ শুরু হয়েছে
হুগলির উত্তর পাড়ার ৬ নম্বর অমরেন্দ্র সরণীর গঙ্গার পারে একটি বেআইনি ফ্ল্যাটের একাংশ পুলিশের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। ২৭ জুনের মধ্যে নির্দেশ পালন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা । সেই নির্দেশ মতোই কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙতে শুরু হওয়া অবৈধ ফ্ল্যাট মিউটেশন করে ট্রাক্স দিয়ে বসবাস করছিলেন বেশ কয়েকটি পরিবার। আদালতের নির্দেশে চাপে পড়েছেন ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। আবাসিকরা জানিয়েছেন তারা ফ্ল্যাট কেনার জন্য ঋণ নিয়েছেন ব্যাঙ্ক থেকে। এমনকি তাদের আরও অভিযোগ পুরসভা সব দেখে মিউটেশন করে দেয়। শুধু কি তাই আবাসিক রা এই ফ্ল্যাটের জন্য ট্যাক্স দেন বলেও জানিয়েছেন। আবাসিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ” আমরা ট্যাক্স দিই, পুরসভা কাগজপত্র দেখেই মিউটেশন করে দিয়েছে। ফ্ল্যাট পেট কিনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ ও নিয়েছি। এখন হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে নির্মান অবৈধ। আমরা যদি জানতাম তাহলে তো কিনতাম না।”
উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন,”উত্তরপাড়ার অমরেন্দ্র সরণী ও ভদ্রকালীর দুটি ফ্ল্যাটের একাংশকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত।আমরা দেখেছি যারা নির্মাণ করেন তারা অনেক সময় নিয়ম মানেন না।আদালত যখন নির্দেশ দেয় তখন সময় বেঁধে দেয়।পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা গিয়ে নির্দেশ পালন করছেন।আমরা মানুষকে নানাভাবে সচেতন করেছি।কোন সম্পত্তি কেনার আগে সেই সম্পত্তি সম্বন্ধে পুরসভা থেকে খোঁজ নিতে।অনেকে সেটা করেন না।আর প্রোমোটাররাও অনেক সময় ভুল বুঝিয়ে বিক্রি করে দেন।যদি কোন নির্মাণে কাগজপত্র ঠিক না থাকে তাহলে আমাদের কাছে এলে সেগুলো আমরা বাতিল করব।বেআইনি কোন কিছু হলে আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি।তারপর পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।”