বনগাঁ: প্রেমের টানে বনগাঁ থেকে কলকাতায় ছুটে এলেন মৌমিতা। মাত্র ২ মাস আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মৌসুমী দত্তের সঙ্গে পরিচয়। বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে (homosexuality) । বাড়ির অমতেই বিয়ে সারলেন দুজনে।
আরও পড়ুনঃসল্টলেকে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা আন্দোলনকারীদের
সমপ্রেম। শব্দটা নিয়ে সমাজের একটি শ্রেণির আপত্তি বেশ প্রবল। প্রকাশ্যে অনেকে না জানালেও হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন, না তাঁরা এই সম্পর্ককে মানতে রাজি নন। বাকা চোখে তাকানো, মুচকি হাসি এই সব তো এই সম্পর্কের বাড়তি পাওনা। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অনেকেই চলে যান পরিবারের বিরুদ্ধে, সমাজের বিরুদ্ধে। ঠিক এমনটাই হয়েছে বনগাঁর মৌমিতা ও মৌসুমী দত্তের সঙ্গে। তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি মৌমিতার বাড়ির লোকজন। কিন্তু তাতে কী? মন যে দিয়ে ফেলেছেন মৌসুমীকে। মন কি আর অতো হিসেব-নিকেশ বোঝে? জানা গিয়েছে মাত্র ২ মাস আগেই দুজনের আলাপ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয়। নিজেদের কষ্ট, বেদনা হাসি, ঠাট্টার মাঝে ক্রমশই তাঁরা বুঝতে শুরু করেন এই সম্পর্ক কোন সাধারণ সম্পর্ক নয়। বন্ধুত্তের চেয়ে অনেক বেশি। বাড়িতে জানাজানি হতেই বেঁকে বসেন মৌমিতার পরিবারের সদস্যরা। অগত্যা বাড়ির অমতে গিয়েই এদিন বিয়ে সারলেন দুজনে। মা কালীকে সাক্ষী রেখেই মৌসুমীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন মৌমিতা। সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজনে।
আরও পড়ুন :Fire Crackers Rescue: বাজি মজুত করার অপরাধে গ্রেফতার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক
সমাজ যাই বলুক না কেন তাঁদের সম্পর্ক (homosexuality) যে অটুট একথা স্পষ্ট যুগলের কথায়। মৌমিতা বলেন, আমি মৌসুমীকে ভালোবাসি। ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না । জল ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না আমি মৌসুমীকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। কিন্তু থাকবেন কোথায় সদ্য ‘বিবাহিত দম্পতি’? মৌমিতা জানিয়েছেন, আপাতত বাড়ি থেকে দুরে অন্য কোথাও গিয়ে তাঁরা থাকবেন। বাঁচলেও ওর সঙ্গে মরলেও থাকব ওর সঙ্গে। পুলিশ প্রশাসন যদি আমাদের মেরে ফেলতে চায় তাহলে আমাদের দুজনকে একসঙ্গে মেরে ফেলতে হবে।আর যদি বাঁচিয়ে রাখতে চায় তাহলে দুজনকেই রাখতে হবে। ঘোর দুশ্চিন্তার মাঝেই সংসারে মন দিতে চান দুজনে।