আব্দুল, বাঁকুড়াঃ তীব্র তাপপ্রবাহে (Heatwave) ভুগছে আমজনতা। বাজারে বাজারে লেগেছে আগুন। সবজির এবং জিনিসপত্রের চড়া দামে নাজেহাল ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। একরমই এক সবজি বাজারে চড়া দামের সাক্ষী বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাস।
গ্রীষ্মের (Summer) প্রখর দাবাদহ হাত থেকে রেহাই দিতে পারে একমাত্র বর্ষার বৃষ্টি (Rain)। জিনিসপত্রের চড়া দামের ব্যাপারে সম্পূর্ণ দোষ প্রকৃতিকে দেওয়া যায় না। আমরা সাধারণ মানুষেরা যথেষ্টভাবেই প্রকৃতির ওপর বিরুপ ক্রিয়াকর্ম করে চলেছি। প্রকৃতি যেন তার প্রতিশোধ প্রতিটা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে নিচ্ছে। গ্রীষ্মের প্রখর দাবদহ থেকে রেহাই পাবার একটা আশা করেছিলাম যা কিছুদিন আগেই কাটিয়ে এসেছি।
তীব্র গরমে কোথায়ও কোথাও ৪৫ কোথাও আবার ৪৭-৪৮ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল পারদ। যার জেরে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে মাঠের সবজি (Vegetables)। তার প্রভাব পড়েছে বাজারে বাজারে। বেশি সবজি না থাকলেও কিছু কিছু সবজি দেখা যাচ্ছে বাজারে। সাধারণ মানুষকে প্রায়ই বাজারে যেতে হয় নিত্য। কিন্তু বাজারের ব্যাগ নিয়ে গিয়েও কর্তারা চোখের জলে নাকের জলে হচ্ছেন। কোনটা হাত দেবেন। ঝিঙে ১০০ টাকা কিলো, শসা ১০০ টাকা কিলো, বেগুন ১২০ টাকা কিলো, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কিলো, পিঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা কিলো, করলা ৮০-১০০ টাকা কিলো। মাছের দাম তো বরাবর আকাশ ছোঁয়া। এছাড়াও মুরগির মাংস ২১০ থেকে ২২০, আম ৫০ থেকে ৭০, ৮০, ৯০ টাকা কিলো।
গত বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতাসহ (Kolkata) দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ভারী শুরু হয়েছে। এবার কী তাহলে কমবে সবজির দাম? নাকি ভারী বৃষ্টির পরও একই থাকবে? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।