কলকাতা: তীব্র দহল জ্বালা একটু হলেও কমেছে। তবে অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে রেহাই পায়নি কলকাতাসহ (Kolkata) সমগ্র দক্ষিণবঙ্গবাসী। চাতকের ন্যায় আকাশপাণে তাকিয়ে বৃষ্টির অপেক্ষায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipur Meteorological Department) পূর্বাভাস, বুধবার বজ্রবিদ্যুতসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) কয়েকটি জেলায়। সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ৫টি জেলায়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতার (Kolkata) আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বুধবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া (Purulia), বাঁকুড়া (Bankura), বীরভূম (Birbhum) এবং পশ্চিম বর্ধমানে (Paschim Bardhaman)। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা (North 24 Parganas & South 24 Parganas), পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর (Purba Medinipur & Paschim Medinipur) এবং ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। বইতে পারে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। জুলাই মাসের শুরুতেই ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে শহর।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতার (Kolkata) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোনিম্ন ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৬ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বুধবার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে সর্বোচ্চ ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ। তবে দুই পার্বত্য জেলাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহবিদেরা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় দার্জিলিং (Derjeeling), কালিম্পং (kalimpong), আলিপুরদুয়ার (Alipurduar), কোচবিহার (Cooch Behar), জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) ভারী বৃষ্টি চলবে সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert)। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও (Uttar Dinajpur & Dakshin Dinajpur)।
আবহবিদদের আশঙ্কা, উত্তরবঙ্গে বাড়তে পারে নদীর জলস্তর। প্লাবিত হতে পারে নিচু এলাকা। ক্ষতি হতে পারে শস্য ও কাঁচা বাঁধের। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কাঁচা বাড়িও। ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে পার্বত্য এলাকায়। যার জেরে বিচ্ছিন্ন হতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে নিম্নচাপও। ফলে বাড়বে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। তবে এর কোনও নির্দিষ্ট সঙ্কেত এখনও দেয়নি আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department)।