শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:– ছাতনার কাঁকুরে মাটিতে ফলছে চিয়াং মাই, রেড আইভরি, আপেল ম্যাঙ্গো এবং ব্যানানা ম্যাঙ্গো। এই ধরনের আমের প্রজাতি গুলি বাঁকুড়ার কাঁকুড়ে সামন্তভূম ছাতনায় উৎপাদিত হতে পারে বলে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, কিন্তু এই আশ্চর্য কর ঘটনা সম্ভব করে তুলেছে ছাতনার কিছু চাষি।
রাজ্য সরকার পরিকল্পিত সাতটি প্রকল্প রয়েছে ছাতনায়। এই সাত প্রকল্পের মধ্যে একটি হল ছাতনা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনার্দনপুরের মাটির সৃষ্টি প্রকল্প। প্রকল্পের অন্তর্গত এই আম চাষ হল একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচি। দু বছর আগে বিদেশী আম গাছের চারা নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণনগর থেকে, এবং মাদার গাছ হিসাবে চারটি স্থায়ী ভ্যারাইটি টবে বসানোর পর ঘটে গেল মিরাকেল ওই চারটি আমের চারাই দিয়েছে দুর্দান্ত ফলন।
স্থানিয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে যে তারা কল্পনা করতে পারেনি এতো ভালো ফলন দেবে গাছ গুলো। তারা এটাও বলেন যে আপেল ম্যাঙ্গো ওজন ৬০০-৭০০ গ্রাম, রেড আইভরিরও ওজন প্রায় ৮০০-৯০০ গ্রাম। পরবর্তীকালে এখান থেকে চারা তৈরি করে বাঁকুড়ার চাষীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এবং এই সব আমের বাজার চাহিদাও বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে।
এতদিন শুধুমাত্র এই এলাকায় আম্রপালি চাষের ওপরই জোর দেওয়া হতো। তবে বর্তমানে অন্যান্য আরও আম চাষের ওপর দৃষ্টিপাত করছে বাঁকুড়া বাসিরা। ছাতনার কাঁকুরে মাটিতে পরীক্ষিত হল এই চার আম গাছের চারার, আর তাতেই মিলেছে সাফল্য। এবার সঠিক চারা সাধারণ মানুষের কাছে পোঁছে দেওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। পরিচর্যাও অন্যান্য আমের মতই করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনার্দনপুর মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের সেক্রেটারি শংকর চক্রবর্তী। অন্যান্য বিদেশি প্রজাতিও চাষ করা হচ্ছে বাঁকুড়ার ছাতনার মত বন্ধুর এলাকাতে যা অবাক করার মতই বিষয়। ভালো যত্ন, পরিকল্পনা, প্রকল্প, ও ইচ্ছে থাকলেই অনেক সময় অসাধ্যও সাধন করা যায় সেটারই প্রমান দিয়েছে ছাতনার চাষিরা।