প্রীতম সাধুখাঁ, হুগলি: অভাবের সংসার৷ তাই সংসারের হাল ফেরাতে কাজে যেতে হয়েছিল উত্তরবঙ্গে৷ মাস তিনেক আগে পাড়ি দিয়েছিল পাহাড়ের শহরে৷ বাড়ি ফেরার কথা ছিল সোমবার৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফেরা হল না বাড়ি৷ ভর্তি হতে হল হাসপাতালে৷ ছেলেদের বাড়ি ফেরার অপেক্ষা দিন গুনছেন পরিবার৷
মেশিনে ধান কাটার কাজে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন হুগলির ধনিয়াখালি মদনমোহন তলার সৌনক সাহা ও তন্ময় ঘোষ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরা যাত্রী ছিলেন তাঁরা। ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন সৌনক। আহত হন তন্ময়ও। দুজনেই ভর্তি হাসপাতালে।
ট্রেন দুর্ঘনার খবর আসে দুই যুবকের বাড়িতে। সৌনকের ভাই সৌভিক গত বছর অল্পের জন্য ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন৷ সেই সময় তাঁর করমন্ডল এক্সপ্রেসে ফেরার কথা ছিল৷ কিন্তু তিনি আগের ট্রেনে ফিরে যান৷ সৌনকের ধান কাটার মেশিনের গাড়িতে ফেরার কথা ছিল। ধান কাটার মেশিন দু দিন পর ফিরবে বলে তিনি ট্রেনে ফিরছিলেন।
তাঁর বাবা প্রদীপ সাহা জানান, দুর্ঘটনার খবর পেতেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক। একই কথা তন্ময়ের মা বাসন্তি ঘোষেরও। ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে দুর্ঘটনার দিনই ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধনিয়াখালির দুই যুবকের চিকিৎসা ও তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান বিধায়ক।