পাপ্পাই মন্ডল, রায়দিঘি: বাঙালি মানেই মাছে ভাতে। অধিকাংশ বাঙালিরই প্রিয় মাছ ইলিশ। ইলিশের ভাজা, ভাপা, দিয়ে শুরু করে ঝোল, টক সব বাঙালিদের প্রিয়। কিন্তু সমস্যাটা হল দুই মাস বৃষ্টির অভাবে মিলছে না দেখা ইলিশের। ইলিশ অর্থনৈতিক ভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মাছ, তাই এর দেখা না পাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে মৎস্যজীবীদের।
রায়দিঘির মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, ১৪ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন প্রায় ৬১ দিন পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।
১৮ জুন ইলিশ ধরার উদ্দেশ্যে রায়দিঘি থেকে সমুদ্রে পাড়ি দেয় শতাধিক ট্রলার ।
কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সমুদ্রে ইলিশের যোগান মিলছে না। তাই প্রথম ফিশিং করার পর মৎস্যজীবীরা একরাশ হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। সেই সঙ্গে বিপুল খরচ হওয়ার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাদের একাংশ।
মৎস্যজীবী নবীন দাস বলেন, ” আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে বাতাস প্রচুর, ট্রলারে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। বৃষ্টির কোন দেখা নেই, তাই ইলিশের বাজার খুব খারাপ। বৃষ্টি হলে ভালো ইলিশ হবে। আষাঢ় মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে জাল ফেলা লটে, চিংড়ি, আমুদি, ভোলা সব মাছের দেখা মিলেছে ইলিশ বাদে।”
তিনি আরও বলেন, ” ইলিশ নেই তাই ট্রলার নামানো যাবে না। একটা ট্রিপে প্রচুর খরচ হয় ইলিশে সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ হয়ে যায় আমাদের। তাই বৃষ্টি হলেই আবার সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে।”
মৎস্যজীবী পরাণ দাস বলেন, “প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করে বঙ্গোপসাগরে গেছিলাম মাছ ধরতে, সেরকম কোন মাছ আমারা পাইনি। ১৮ দিন আমরা সমুদ্রে ছিলাম আবহাওয়ার জন্য মেলেনি ইলিশের দেখা তার জন্য প্রচুর টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের। ব্যবসার ক্ষেত্রে এত বড় লোকসান মাথায় হাত ফেলে দিয়েছে। বৃষ্টির দেখা না পেলে পথে বসতে হবে।”
ইলিশ মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটায়। ব্যবসার ক্ষেত্রে এই মাছ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৃষ্টির অভাবে সেই মাছের ঘাটতিতে পড়েছে মৎস্যজীবীদের মাথায় হাত। কবে দেখা মিলবে সমুদ্রের সেই রূপালি ইলিশের ? সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন মৎস্যজীবীরা।