রনি চ্যাটার্জি, কল্যানী ব্লকঃ আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বৃষ্টির অভাবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির কবলে পরেছে চাষিদের একাংশ। এবছরও সেই একই চিত্র ফুটে উঠেছে। বৃষ্টির অভাবে মুখে হাসি নেই চাষিদের। প্রচুর টাকা খরচা করে তাঁরা চাষের জন্য জমি তৈরি করেন কিন্তু জলের প্রাথমিক উৎস বৃষ্টির অভাবে ফসল প্রচুর নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের। বাজারে মিলছেনা সঠিক দাম।
বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মাথায় হাত পাট চাষীদের। গত বছর খুবই কম বৃষ্টিপাতের ফলে সঠিক সময়ে পাট জাগ না দেওয়ায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির কবলে পরেছিলেন পাট চাষিদের একাংশ। দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার উপরেই পাট ফেলে রাখা হয়ছিল বলে জানান চাষিরা।
এ বছরও শোচনীয় অবস্থা চাষীদের। প্রতি বারের মত এবারেও, ফাল্গুন মাসের শেষে ও চৈত্র মাসের প্রথমে টাকা খরচা করে চাষের জন্য জমি তৈরি করেন তাঁরা । বৃষ্টির অভাবে ও সেচের কারণে পাট ঠিকমত বাড়ছেনা বলে জানান কৃষকদের একাংশ। সূর্যের তাপ ও প্রবল দাবদাহের কারণে জমিতে জল দেওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জমি শুকিয়ে জলের অভাব দেখা দিচ্ছে।
পাট চাষি বলাই মণ্ডল বলেন, ” বৃষ্টি নেই তাপে সব পাট মরে যাচ্ছে। প্রচুর টাকা খরচা করা হয়ছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এ বছর দুবার সেচের মাধ্যমে জলের ব্যবস্থা করেছিলাম কিন্তু মাটি নরম হয়নি। চাষ ছাড়া আমারা কোন কাজ করিনা, এমন ক্ষতি বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে পরিবারকে নিয়ে পথে বসতে হবে।”
জলের অভাবে ঠিক মত সার প্রয়োগ করতে পারছেন না তাঁরা। এক বিঘা জমিতে দিনমজুর লাগে প্রায় সাত থেকে আট জন, একবেলা এদের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ফলে এই মুহূর্তে যদি বৃষ্টি না হয় চাষীদের অবস্থা শোচনীয়। চাষিদের একাংশের দাবি তাঁরা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেন। এত ক্ষয়ক্ষতি হলে তাঁরা মহাজনের টাকা শোধ দিতে পারবেন না এবং ঘর ছাড়া হতে হবে তাদের। শুধু বীমার টাকা দিলেই হবে না জলের জন্য সেচের ব্যবস্থা করতে হবে, পর্যাপ্ত জল ধরে রাখার ক্ষমতা করতে হবে কৃষি দপ্তরকে। এই কথাটাই বারবার উঠে আসছে চাষিদের সমাজ থেকে।