রাখী নস্কর ও বাবলু সাঁতরা, ক্যানিং ও চন্দ্রকোনাঃ আচমকাই বাজ পড়ে মৃত্যু ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) ও পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Medinipur)। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যানিং (Canning)-এ মাঠে খেলতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক নাবালকের। ঠিক একই দিনে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) গোসাবার (Gosaba) এক যুবকের। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) চন্দ্রকোনায় মাঠে বাদাম জড়ো করতে গিয়ে মারা গেলেন এক কৃষক।
মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল সফিক মোল্লা (১৬) নামের এক নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং (Canning) থানার তালদি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিবনগর গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির সময় মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল সফিক। ঠিক সেই সময়েই বাজ পড়ে সফিক গুরুতরভাবে আহত হয়ে পড়ে। তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ক্যানিং (Canning) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক। ক্যানিং (Canning) থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ নদীতে মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম রহমান মোল্লা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) গোসাবা বাসন্তী থানার অন্তর্গত চুনাখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের হাট খোলা মাঝের পাড়ায়। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
একইদিনে মাঠে বাদাম জড়ো করতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক কৃষকের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা থানার ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বারিণ্যা গ্রামে। মৃত কৃষকের নাম চঞ্চল দাস,বয়স ৪৬।
মৃতের ভাই বাপন দাস বলেন,”আজ দুপুরে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে সেইসময় দাদা চঞ্চল দাস বাড়ি থেকে দূরে মাঠে জমিতে থাকা বাদাম জড়ো করতে যায়। সেইসময়ই বাজ পড়ে জমিতেই পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।”
পরে মাঠ থেকে উদ্ধার করে তাঁকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালের পর থেকে চন্দ্রকোনায় ঘনকালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। তারপরই শুরু হয় ঝড় ও মুষলধারে বৃষ্টি। সঙ্গে চলে মুহুর্মুহু বজ্রপাত। আর সেই বজ্রপাতেই প্রাণ কাড়ল চন্দ্রকোনার বারিণ্যা গ্রামের কৃষকের।