ধীমান রায়,জলপাইগুড়িঃ বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাগৃহ থেকেই মমতা হকারদের নিয়ে বড় ঘোষণা করেন। এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, হকারদের এই মূহুর্তেই উচ্ছেদ নয়। আরও একমাস সময় দেওয়া হল হকারদের। এর মধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ীদের ফের সতর্ক করা হল। হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা আটকে ব্যবসা করা যাবে না। এই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে এদিন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর সমগ্র রাজ্যজুড়েই বেআইনি দখলমুক্ত করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। সেই অনুযায়ী জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে অভিযান। এদিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের উপস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদেরকে ফের সচেতন করা হল। বেআইনি দখল করে তৈরি করা দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিদিনই হাসপাতালের এই এলাকায় এতটাই ভিড় হয় যে রোগী ও রোগীর পরিজনদের নানা সমস্যায় জেরবার হতে হয় বলে অভিযোগ। টোটোর আধিক্যের কারণে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও সমস্যা দেখা দেয়। হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে হিমশিম খেতে হয় বলে দাবি। আজ প্রশাসনের তরফে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও টোটো চালকদের সতর্ক করা হয়। অন্যদিকে দোকান ছেড়ে অতিরিক্ত জায়গা নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন তা আর এখন থেকে করা চলবে না। দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নিজেদের সামগ্রী যথাস্থানে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। নিজেদের দোকান ছেড়ে যারা অতিরিক্ত শেড তৈরি করেছেন তাদেরকে তা দ্রুত খুলে ফেলার জন্য বলা হয়।