বিশ্বকাপ পর্যালোচনা: ইংল্যান্ড
শান্তি রায়চৌধুরী: সেই ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ছিল না। অর্থাৎ প্রথম তিনটি বিশ্বকাপে ছিল না ইংল্যান্ড। ১৯৫০ সালে প্রথমবার ইংল্যান্ড খেলে বিশ্বকাপ। ১৯৬৬ সালে স্বাগতিক হয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতেছিল। জিওফ হাস্টের হ্যাটট্রিকে ইংল্যান্ড জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছিল। এরপর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাফল্য নেই। ১৯৯০ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। এই দুবারই তারা চতুর্থ স্থান পায়।
ইংল্যান্ড ২০১৮ র বিশ্বকাপ সেমির পর ২০২০র ইউরো ফাইনাল খেলে। ফাইনালে তারা ইতালির কাছে ট্রাইবেকারে হারে। বড় দুটি টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড ভালো খেলেছে কোচ গ্যারেথ সাউথ গেটের কোচিংয়ে। কাতার বিশ্বকাপের বাছাইতে গ্রুপের দশটি ম্যাচের ৮টিতে জয়, দুটিতে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে নিশ্চিত করলেও নেশান্স লিগে ইংল্যান্ডের পারফরমেন্স ভালো হয়নি। হেরেছে তিনটি ম্যাচ। ইতালি জার্মানি হাঙ্গেরির গ্রুপে একটা জয় নেই। তবুও বিশ্বকাপে সাউথ গেটের ওপর ভরসা রাখছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড দলের নিয়মিত স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের অনেকেই এই মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ভালো করতে পারেননি। বিশ্বকাপে ডিফেন্স ও মিডফিল্ড নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে ‘দ্য থ্রি লায়ন্সরা’। সেন্টার ব্যাক হ্যারি মাগুয়ের শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে থাকবেন কি না সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই এখন নিয়মিত সুযোগ পাননা এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। ইংল্যান্ড দলের মিডফিল্ডে বড় ভরসা ফিল ফোডেন, জুড বোলিংহাম বুকায়ো সাখা, মেসন মাউন্টের মত তরুণরা। ইংল্যান্ডের রাইট ব্যাক কাউল ওয়াকার কুচকির ইনজুরিতে ভুগছেন। তার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে।
ইংলিশদের আক্রমণভাগে মূল ভরসার নাম হ্যারিকেনই। ২০১৮ বিশ্বকাপে ৬ গোল করে পেয়েছিলেন গোল্ডেন বুট। ২০২০ তে ইউরোপে গোল করেছেন চারটি। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫১টি গোল করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে কেইনকে সঙ্গ দিতে পারেন রাহিম স্টারলিং ও টমি আব্রাহাম। কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড আছে ‘বি’ গ্রুপে। গ্রুপের ওপর তিন দল যুক্তরাষ্ট্র , ইরান ও ওয়েলস। দলের সাম্প্রতিক বাজে ফলাফল, খেলোয়ারদের অফফর্মের পরও ইংলিশ সমর্থকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইউরো ২০২০ কিংবা বিশ্বকাপ ২০১৮এর পারফমেন্স।