বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: সৌরজগতের এত গ্রহের মধ্যে শনি আলাদা করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এর কারণ অবশ্যই গ্রহটির বলয়। কিন্তু এতেই শেষ নয়। আরও একটি কারণে শনি সৌরজগতের বাকি ৭ গ্রহের থেকে আলাদা। যা প্রথমবার জানার পর তাজ্জব বনে গিয়েছিল বিজ্ঞানীর দল-ও।
আরও পড়ুন: চাঁদেও থাকতে পারে মানুষ, রয়েছে উপযুক্ত পরিবেশ, শুধু মানতে হবে একটি শর্ত
সৌরজগতে শনিই একমাত্র গ্রহ, যে নিজের প্রদক্ষিণের ব্যাপারে সূর্যকে তোয়াক্কা করে না। নিজের গতিবিধি নিজের ইচ্ছেমত পাল্টাতে পারে। সূর্যকে প্রদক্ষিণকালে এই গ্রহ কখনও সোজা পথে চলে। আবার কখনও তার চলার পথ আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু এমন কেন হয়?
বৃহস্পতির পর সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ হল শনি। এই গ্রহের সৌন্দর্য গ্রহটির চারপাশে থাকা বলয়ের কারণে। এই সুবিশাল বলয় নিয়ে গ্রহটি ৯.৬৯ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডের গতিতে নিজের কক্ষপথে ভ্রমণ করতে থাকে। সব মিলিয়ে সূর্যের চারদিকে শনির একবার পাক খেয়ে আসতে সময় লাগে ১০,৫৭৯ দিন। অর্থাৎ পৃথিবীর হিসেবে প্রায় সাড়ে ২৯ বছর।
তবে শনিগ্রহের কক্ষপথ সামান্য বাঁকা। ২.৪৮ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে এটি। এর ফলে সূর্য থেকে গ্রহটির দূরত্ব ১৪৪ কোটি কিলোমিটার থেকে ১৫৫ কোটি কিলোমিটারের মধ্যে পরিবর্তিত হতে থাকে বারবার। শনির উপগ্রহ এবং বলয়ের প্রভাবে গ্রহটির ঘূর্ণনের গতিতে তারতম্য দেখা দেয়।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
শনির ঘূর্ণনকে কার্যত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। সিস্টেম-১ এবং সিস্টেম-২ এবং সিস্টেম-৩। সিস্টেম-১ এর আওতায় পড়ে বিষুবরেখার আশপাশের এলাকা। এই অংশের আবর্তন ঘূর্ণন ১০ ঘন্টা ১৪ মিনিটে সম্পন্ন হয়। সিস্টেম-২ এর আবর্তন ১০ ঘন্টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে সম্পন্ন হয়। আর সিস্টেম-৩ এর ক্ষেত্রে আবর্তন গতি ১০ ঘন্টা ৩৯ মিনিট ২২.৪ সেকেন্ড। তবে বলাই বাহুল্য, শনির এই নিজ ইচ্ছামত ঘূর্ণনের ফলে বাকি গ্রহের ওপর তার কোনও প্রভাব পড়ে না। সুতরাং পৃথিবীর কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।