বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: ঈদ-উল-আধা মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্র উৎসব। উপমহাদেশে এটি বকরি ঈদ (Bakri Eid) নামে পরিচিত। আবার কোনও কোনও জায়গায় এই উৎসবকে কোরবানির ঈদ-ও বলা হয়ে থাকে। কারণ এইদিনে আল্লাহ অর্থাৎ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষেরা। তারপর সেই পশুর মাংস পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করা হয়। শুধু তাই নয়। এ হল খুশির উৎসব। তাই এই দিনে কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকেন সে ব্যাপারেও নজর রাখতে হয়।
আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেনের গতিপথ বদল
কিন্তু জানেন কি, কেন ঈদ উল আধাকে বকরি ঈদ (Bakri Eid) বলা হয়? কেনই বা এই উৎসবে পশু কোরবানি দেওয়ার প্রথা চালু হয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ইতিহাস।
কিংবদন্তি অনুসারে, মহান আল্লাহ-র একনিষ্ঠ ভক্ত ইব্রাহিম নিজের পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহ-র চরণে উৎসর্গ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্ন তিনি বারবার দেখতে থাকেন। ইসমাইল-ও ছিলেন তাঁর বাপের মত আল্লাহর ভক্ত। তিনি নিজেকে কোরবানি দিতে সম্মত হন। তবে শেষপর্যন্ত ইসমাইলকে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়নি। তার আগেই মহান আল্লাহ ভক্তিতে খুশি হয়ে তাঁর ফেরেশতা, জিব্রাইলকে পিতা-পুত্রের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এবং ইসমাইলকে অলৌকিকভাবে একটি ভেড়ার বাচ্চার পরিবর্তে বিনিময়ে।
সেই থেকেই ঈদ-উল-আধা (Bakri Eid) উৎসবে পশু কোরবানি দেওয়ার প্রথা চালু। আল্লাহ অর্থাৎ ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পশুবলি দিয়ে সেই পশুর মাংস নিজেদের মধ্যে ভাগ করা হয় এবং দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ইব্রাহিম ও ইসমাইলের দুঃখ এবং ভক্তি ভাগ করে নেওয়ার জন্যই পশুর কোরবানি দেওয়া হয় এবং মাংস দিয়ে ভোজ হয়। এই উৎসবের আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ রীতি হল নামাজ পাঠ খুতবা পাঠ। গরীব দুঃখীদের মধ্যে সম্পদও বিতরণ করা হয় এই দিনে।