কেদারনাথ: পুণ্যযাত্রীদের নিয়ে কপ্টারে করে আর ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়নি। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাইলট সহ ৭ জন। অনিল সিং, যিনি মঙ্গলবার কেদারনাথের পুণ্যযাত্রীদের নিয়ে হেলিকপ্টার চালাচ্ছিলেন। খারাপ দৃশ্যমানতার কারণে উত্তরাখণ্ডের একটি পাহাড়ে সেই কপ্টার ভেঙ্গে পড়ে। প্রয়াত এই পালিটের শেষ কথাই এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। পাইলটের তাঁর স্ত্রীকে বলা শেষ কথা মন কেড়েছে গোটা দেশের মানুষের।
অনিল সিং যিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা কর্নেল। দুর্ঘটনার একদিন আগেই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফোন কথা বলেছেন। তখনই তিনি তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন, “আমার মেয়ের যত্ন নিও। সে অসুস্থ।” ১৯৬৭ সালের একজন ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমী (NDA) স্নাতক ছিলেন অনিল সিং। তিনি তাঁর বন্ধু এবং পরিবারের কাছে ‘আনসি’ নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর ফ্লায়িং নামও এই একই ছিল। তিনি মুম্বইয়ে আন্ধেরি শহরতলিতে একটি আভিজাত্য হাউজিং সোসাইটিতে থাকতেন। প্রয়াত পালিলটের পরিবারে রয়েছে তাঁর স্ত্রী শিরিন আনন্দিতা এবং কন্যা ফিরোজা। দুর্ঘটনার পর পাইলটের স্ত্রী বলেছেন, “আমি গতকাল (সোমবার) বিকেল ৫ টা ৪৬ মিনিটে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা জাগতিক জিনিস সম্পর্কে প্রায় ১৫ মিনিট চ্যাট করেছি। আমাদের মেয়ে খুব ভালো বোধ করছে না, এবং তিনি তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন।” পাইলটের স্ত্রী একজন লেখক এবং গ্র্যামি-মনোনীত গীতিকার।
আরও পড়ুন-রাজ্যে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ঘনাচ্ছে কালো মেঘ, ফের গ্রেফতার আল-কায়দার ২ জঙ্গি
উল্লেখ্য, ছয় আসনের হেলিকপ্টার Bell-407 (VT-RPN) যা আরিয়ান এভিয়েশন দ্বারা পরিচালিত সেটি কেদারনাথ মন্দির থেকে গুপ্তকাশীতে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ে কপ্টারটি পাহাড়ে ভেঙ্গে পড়ে মঙ্গলবার সকাল ১১.৪৫ নাগাদ। রুদ্রপ্রয়াগের গারুড় চট্টির দেব দর্শনীতে ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। অনিল সিং-এর স্ত্রী এটিকে “দুর্ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন এবং তাঁর কারও বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পার্বত্য রাজ্যে সর্বদা প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়। এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) এবং বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-এর দলগুলি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত করবে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ অনেকেই।