লখনউ: রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ নিয়ে চর্চার অন্ত ছিল না দেশ জুড়ে। মন্দির নির্মাণের জিনিসপএ কোথা থেকে এসেছে, কোন ধাতু কোন পাথর দিয়ে নির্মাণ হয়েছে সবটাই জানানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বহু দিক ভেবে একাধিক সুরক্ষাব্যবস্থা বজায় রেখেই নাকি নির্মাণ করা হয়েছে রাম মন্দির। চলতি বছরেই মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রাম মন্দিরের দরজা। কিন্তু এর মধ্যেই ঘটলো বিপত্তি। বর্ষা আসতেই এবং ভারী বৃষ্টি পড়তেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়ছে জল। এই তথ্য দিয়েছেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস।
মন্দির নির্মাণে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। আচার্য সত্যেন্দ্র দাস অভিযোগ করেছেন যে শনিবার মধ্যরাতে বৃষ্টির পর মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ থেকে জল পড়ছে। এখানেই শেষ নয় তাঁর আরও অভিযোগমন্দির চত্বর থেকে বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। মন্দির কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আচার্য সত্যেন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার মধ্যরাতে প্রথম ভারী বর্ষণে মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ ফুটো হয়েছিল। তিনি বলেন, রাম লালার মূর্তির সামনে পুরোহিত যেখানে বসেন এবং ভিআইপি দর্শনের জন্য যেখানে মানুষ আসেন, সেখান থেকে সরাসরি ছাদ থেকে বৃষ্টির জল পড়ছিল। তিনি বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, “এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে সারা দেশের ইঞ্জিনিয়াররা রাম মন্দির তৈরি করছেন। মন্দিরটি ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু, কেউ জানত না যে বৃষ্টি হলে ছাদ ফুটো হয়ে যাবে। এটা আশ্চর্যজনক যে পৃথিবীর প্রসিদ্ধ মন্দিরের ছাদ ফুটো হয়ে গিয়েছে। কেন এটা হবে? ফাঁস হচ্ছে কেন? এত বড় ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা খুবই অন্যায়।”
মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ার খবরটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কানে যেতেই মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র মন্দিরে পৌঁছে ছাদটি মেরামত করে ফেলার নির্দেশ দেন। মন্দির ট্রাস্ট সূত্র জানিয়েছে ছাদ থেকে আর যেন কোনোভাবেই জল না পরে সেই ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে।