নয়াদিল্লি: সপ্তাহ শুরুতেই বিরাট বিপদ। গত বছরের স্মৃতি উস্কে ফের ঘটেছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। সোমবার সাত সকালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা শিয়ালদহগামী এক্সপ্রেসে(Kanchanjunga Express )ধাক্কা দেয় মালগাড়ি। তাতেই ঘটে বিপত্তি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে শেষের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির চালক, সহ চালক, কাঞ্চনজঙ্ঘা শিয়ালদহগামী এক্সপ্রেসের গার্ড সহ ৮ জনের। হাসপাতালে ভর্তি একাধিক। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় ।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “রেল দুর্ঘটনায় যাঁরা নিজের ভালোবাসার মানুষ হারিয়েছেন সেই পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমি প্রার্থনা করছি আহতদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হোক। উদ্ধারকার্য চলছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।” শোকপ্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। উদ্ধারকাজ যেন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । তিনি লিখেছেন, “এই মাত্র দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিশদে এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে শুনেছি। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন দুর্ঘটনাস্থলে । রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল। মৃতদের পরিবাকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল।
উল্লেখ্য, সোমবার সাতসকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়ার পর, দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস(Kanchanjunga Express )। রাঙাপানির কাছে একটি মালগাড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা দেয়। তাতেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় এক্সপ্রেসের চারটি কামরা। একটি কামরা দুমড়ে মুচড়ে উল্টে গিয়েছে। আরেকটি কামরা ইঞ্জিনের উপরে উঠে গিয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।