কলকাতা ও তমলুক: মঙ্গলবারই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথমবার খুনীদের কাছ থেকে দেহ সংগ্রহ করল মমতার পুলিশ। তাই খুনের কিনারা করতে মমতার হাসপাতালে ময়না তদন্ত চাই না, কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়না তদন্ত হবে। বস্তুত, ময়নার নিহত বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহের দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিহতের পরিবার৷ এরপরই আজ ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে নিহত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্ত।
একই সঙ্গে চার সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় নিহতের পরিবারকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি৷ অন্যদিকে নিহত বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে এনআইএ তদন্তের দাবিতে তৎপরতা শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা৷ একই সঙ্গে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পূর্ভ ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার সকাল থেকেই ময়নার পাশাপাশি সমগ্র পূর্ব মেদিনীপুর কার্যত অবরুদ্ধ৷ এদিন সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হঠাতে বিস্তীর্ণ এলাকায় পুলিশ প্রশাসন লাঠিচার্জ শুরু করে। অবরোধের ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থককে আটক করেছে জেলা পুলিশ।
বস্তুত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না বিধানসভার বকচা গ্রাম পঞ্চায়েতে গোড়ামাল গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়া। অভিযোগ, সোমবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করার সময় তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা৷ পরে ওই বিজেপি নেতার দেহ মেলে৷ পুলিশি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি শুভেন্দু জানান, নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতির খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত হয়েছিল৷ আমি কথা দিচ্ছি এই ঘটনারও এনআইএ তদন্ত হবে। কিভাবে মমতা পুলিশকে সোজা করতে হয়, সেই বিদ্যা বুদ্ধি আমার আছে।
আরও পড়ুন: ফলে গেল শুভেন্দুর হুমকি, কৃষ্ণর বাড়িতে ইডি, আয়কর হানা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৃণমূলের