কলকাতাঃ উপ নির্বাচনে জয়ী সায়ন্তিকা ও রেয়াতের শপথগ্রহণ নিয়ে এখনও কাটেনি জটিলতা। চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাতেও শপথ নেওয়া এখনও অসম্পূর্ণ রয়েই গিয়েছে নবনির্বাচিত প্রার্থী রেয়াত হোসেন এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ নিয়েই বুধবার থেকে ধর্নায় বসতে শুরু করেছেন তাঁরা। ধর্নায় বসেই বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sayantika Banerjee)।
এদিন একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ তুললেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sayantika Banerjee)। তবে এই অভিযোগের সূত্রপাত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর থেকেই। নবান্নের বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগের ইঙ্গিত দিয়েছেন এরপরেই মমতার মন্তব্য নিয়ে সায়ন্তিকাও মুখ খুললেন। শপথগ্রহণের জন্য রাজভবনে যাবেন না সায়ন্তিকা। এ নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজভবনে কেন সবাই যাবেন? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি ঘটছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে, আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।” শুধুর তাঁর মুখেই নয় একই কথা শোনা যায় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও।
মহিলা প্রার্থীরা নাকি রাজভবনে যেতে চাইছেন না। তৃণমূল সুপ্রিমো সহ শাসকদলের হেভিওয়েট সাংসদের মুখেও এই একই কথা। কিন্তু কেন? তার কোনও ব্যাখ্যা এখনো মেলেনি। এরপরে একটি সংবাদমাধ্যমের সামনে এ নিয়ে সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, “ঠিকই বলেছেন। আমরা ছোট, তাই বলতে চাইনি। ওঁর চেয়ারের সম্মান রেখে বলতে চাইনি। সন্দেহ তো একটা ছিলই।” কিন্তু কেন এই সন্দেহ? তা নিয়ে বলতে গিয়ে সায়ন্তিকা আরও বলেন, মেইলে ও স্পিড পোস্টে রাজভবনের তরফে গত ২১ তারিখ চিঠি গিয়েছে তাঁর কাছে। কিন্তু ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেনের কাছে চিঠি যায় তারও দু-তিনদিন পরে।
এ বিষয়টি জানিয়ে সায়ন্তিকা আরও প্রশ্ন তোলেন, স্পিড পোস্ট যদি যেতে দেরীও হয়, রেয়াত হোসেনের কাছে কেন মেইলটাও পৌঁছল না সেদিন? কেন তাঁর একার কাছেই গেল মেইল টা? বৃহস্পতিবার ধর্নায় বসে তিনি বলেন, “সত্যিটা বলছি। উনি সংবিধান মানছেন না, নিয়মও মানছেন না। এই ভয় না থাকলেও আমি যেতাম না। উনি শপথবাক্য পাঠ করাতে বিধানসভায় আসবেন, অথবা স্পিকারকে বলবেন।”