বিশেষ প্রতিবেদন: অকারণে গালমন্দ খাওয়ার দিন শেষ! দিতে হবে না তোলাও! কিংবা ত্রিপল বিছিয়ে ফুটপাতে বসে জিনিস বিক্রিও করতে হবে না। হকারদের জন্য নয়া আ্যাপ চালু করছে রাজ্য। গড়িয়াহাট, বেহালা, হাতিবাগান, নিউমার্কেট-সহ যে সব এলাকায় এতদিন ফুটপাত ঘিরে হকাররা বসতেন, তার আশেপাশেই মার্কেট করে দেবে সরকার। সরকারের তৈরি সেই মার্কেটে বসে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারবেন হকার ভাইয়েরা।
আরও পড়ুনঃ কাজ ফুরোলেই পাজি, কেন গরিবের পেটেই লাথি মারে শাসক
মঙ্গলবার কলকাতা শহরে পুলিশ-পুরসভার যৌথ বুলডোজার অভিযানের ৪৮ ঘণ্টা পর নবান্নের বৈঠক থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “হকারদের আমি ভালইবাসি।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে শুক্রবার পুরসভার আধিকারিক এবং সচিবদের নিয়ে কয়েক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠক শেষে একাধিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মেয়র। কলম ঠুকে বলাই যায়, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন এবং ফিরহাদ যে পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত হলে বলতেই হবে আবার সত্যযুগ ফিরছে। সেই সত্যযুগ যেখানে সত্যি মানুষ মানুষের জন্য, যেখানে তোলাবাজি নেই, নেই রক্তচক্ষুর শাসানিও!
কী বলেছিলেন মমতা? বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “হকারিটাও একটা ব্যবসা। তাঁদের পরিবারের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। আমি একটা সিস্টেম তৈরি করতে বলেছি। যত এরকম হকারদের বাজার আছে, তার একটা লিস্ট হবে। বেশি খরচ হয় না, এক-দেড় কোটি খরচ করলে একটা ভাল মার্কেট হয়ে যাবে। আমি প্ল্যান হাতে পেলে একটা ফান্ড অ্যালট করতে পারি। গরিব মানুষদের আনাজ বিক্রির জন্যও বাজার করে দেওয়া যায়। হকার জোন বিল্ডিং, হকার স্টল এবং বাজার তৈরি করা হবে।”
শুক্রবার বৈঠক শেষে ফিরহাদ জানালেন, “হকারদের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপ তৈরি হবে। এছাড়া প্রতিটি মার্কেটে মাল রাখার আলাদা জায়গাও করে দেওয়া হবে।” কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও একই নিয়ম কার্যকরী হবে। টানা একমাস ধরে চলবে সমীক্ষা। তিনমাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ফিরহাদ এও বলেন, “হকারদের কমিটি তে কাউন্সিলররা থাকবে না। শুধু হকাররা থাকবে।”
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিংকঃ https://www.facebook.com/share/434buqMrZ98y4kma/?mibextid=qi2Omg
কারণটা আগের দিনই প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, পুরসভার একাংশ কর্মী, কাউন্সিলর, পুলিশ টাকা খেয়ে যেখানে সেখানে লোক বসাচ্ছে। অর্থাৎ হকার ভাইদের লাভের গুড় পিঁপড়েই খেয়ে যাওয়ার দিন শেষ! যা শুনে এক হকার ভাইয়ের সরল জবাব, “হলেই ভাল! তবে গত ১৩ বছরে তো এরকম অনেক কিছুই শুনেছিলাম!”