বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। বৃষ্টি হলে সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে যেত টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু ঈশ্বর চাননি এভাবে ফাইনাল খেলুন রোহিত শর্মারা। অ্যাডিলেডের ১০ উইকেটে হারের বদলাও যে বাকি ছিল। ১০ উইকেটে হারের বদলা ইংরেজদের ১০ উইকেট নিয়েই পূরণ করলেন বুমরাহ্-অক্ষর-কুলদীপরা। ১০ বছর পর ফের ভারত কে পৌঁছে দিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
আরও পড়ুনঃ বোর্ডে ১২০ রান থাকলেই ফাইনাল খেলত আফগানিস্তান
এই ভারত সত্যিই অন্য ভারত। সেমিফাইনালে নার্ভ ফেল করে চোক করার ভারত নয়। ১০ উইকেটে হেরে বসার ভারতও নয়। এই ভারত নিজেরা চোক করতে নয়, অপরকে চোক করাতে এসেছে। ক্রমেই মন্থর থেকে মন্থরতর হতে থাকা সারফেসে খেতাবরক্ষক ইংরেজরা কার্যত বাধ্য হল আত্মসমর্পণ করতে। বাধ্য করলেন অক্ষর প্যাটেল (৩/২৩)।
১৭১ তাড়া করতে নেমে ৩ ওভার শেষে ইংরেজদের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ২৬। সেখান থেকে ৪৯/৫ করে দেওয়ার কারিগর অক্ষরই। ম্যাচের ফয়সালা ওখানেই ঘটে যায়। এরপর কুলদীপের স্পেল (৩/১৯) ছিল যাকে বলে, আইসিং অন দ্য কেক। অন্যদিকে চেরি অন টপ যদি কিছুকে বলা যায় তা অবশ্যই অধিনায়ক রোহিতের ৩৯ বলে ৫৭। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিলেন ভারত অধিনায়ক, এদিন যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। বিশ্বকাপ যত ক্লাইম্যাক্সে দিকে এগিয়েছে ততই আরও বেশি করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রোহিত।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিংকঃ https://www.facebook.com/share/434buqMrZ98y4kma/?mibextid=qi2Omg
চলতি বিশ্বকাপে নিজের ফর্ম অব্যাহত রেখে এদিনও ব্যর্থ বিরাট (৯)। হয়ত শনিবার প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তার ব্যাট জ্বলে উঠবে। হয়ত বা না। কিন্তু রোহিত একজন প্রকৃত নেতার মতই ঢেকে যাচ্ছেন বিরাটের ব্যর্থতা। এদিন যিনি যোগ্য সঙ্গত পেলেন সূর্যকুমার যাদবের-ও (৪৭)। স্যাম কারানের এক ওভারে ১৯ রান নিয়ে ভারতের জন্য মোমেন্টাম সেট করে দেন এই দুজনই। এখান থেকেই যেন ইংরেজদের আর কিছু করার ছিল না
আসলে এই ভারত যে সত্যিই অন্য ভারত। গত ১৯ নভেম্বর একটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে এই দল। ৭ মাসের মধ্যে আরও একটি বিশ্বকাপ ফাইনাল। কিন্তু এই দল যে অতীতে বিশ্বাসীই নয়। এরা শুধু সামনের দিকেই তাকাতে চায়। আর মাত্র এক ধাপ। তারপরেই…. খুব মনে পড়ছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু আগে সকলেই বলেছিল, এই দল নিয়ে বেশি আশা না করাই ভালো।