বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: “চোখের জলের হয় না কোনও রং তবু কত রঙের ছবি আছে আঁকা…” সাত মাসের মধ্যে দু-দুটো বিশ্বকাপ ফাইনাল। ১৯ নভেম্বর যা না পাওয়ার যন্ত্রনা এতদিন কুড়ে কুড়ে খেয়েছে, তা কড়ায় গন্ডায় ছিনিয়ে নেওয়ার আরও এক মোক্ষম সুযোগ। সেইসঙ্গে সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে কঠিন সময় ৫৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস। সব মিলিয়ে আবেগ আর কিছুতেই বাঁধ মানল না ক্যাপ্টেন রোহিতের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গানায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল জয়ের পর ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিতে ধূলিসাৎ ইংরেজরা, এই ভারত অন্য ভারত
ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এই দৃশ্য। যেখানে দেখা যায়, ইংরেজদের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেওয়ার পর ড্রেসিংরুমে একটি চেয়ারে বসে হাত দিয়ে চোখ ঢেকে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক। রোহিতকে গিয়ে সামলান বিরাট। ৩৭ বছর বয়সী রোহিত এরপর অবশ্য চোখ থেকে হাত সরান। কিন্তু স্পষ্টই দেখা যায় তাঁর চোখে জল। নিজের আবেগকে যেন কিছুতেই বশ করতে পারছেন না তিনি। আসলে এটাই যে তার শেষ বিশ্বকাপ। অধিনায়ক হিসেবে দেশকে ট্রফি দেওয়ার শেষ সুযোগ। যে সুযোগ গত এক বছরের মধ্যে দুবার এসেছে। কিন্তু দুবারই ফাইনালে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ। এবারে যাতে তা না হয় সেজন্য বদ্ধপরিকর তিনি এবং তাঁর দল।
গত ১৯ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে কাছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনাল হারার পরেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। সেদিনও হাত দিয়ে ঢেকে চোখের জল লুকাতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। কিন্তু এদিনের কান্না একেবারেই আলাদা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসেও সেই কথাই বলে গেলেন তিনি। কোন রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দিলেন ফাইনালে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিংকঃ https://www.facebook.com/share/434buqMrZ98y4kma/?mibextid=qi2Omg
রোহিতের কথায়, “মাথা ঠান্ডা রাখলে তবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। তাই দল হিসাবে আমাদের শান্ত থাকতে হবে। এবারে আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনালেও একই কাজ করতে চাই।” যোগ করেন, “ফাইনাল জিততে হলে ভাল ক্রিকেট খেলা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।” পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “এই জয় খুব স্বস্তি দিয়েছে আমাকে। কুলদীপ এবং অক্ষর অভিজ্ঞ স্পিনার। আমি জানতামই ওদের বিরুদ্ধে খেলা সহজ হবে না। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম ১৪০-৫০ অব্দি পৌঁছবো। কিন্তু আমার আর সূর্যর মধ্যে একটা পার্টনারশিপ হয়। এরপরই আমরা ঠিক করে নিই, আরও ২৫ রান যোগ করতে হবে। আমি শুরুতেই একটা লক্ষ্য নিয়ে নামি কিন্তু সেটা কাউকে বলি না। আমি চাই প্রত্যেকে নিজের বুদ্ধি খরচ করুক।”