বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: সাড়া জাগিয়েও চূড়ান্ত ব্যর্থ আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মাত্র ৫৬ রানেই শেষ রশিদ খানরা। জবাবে মাত্র ৮.৫ ওভারেই ১ উইকেট খুইয়ে জয়ের কড়ি সংগ্রহ করে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনও বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুনঃ অর্শদীপ ভারতীয়, তাই বল বিকৃত করেও শাস্তি পাবে না, বিস্ফোরক ইনজামাম
কার্যত মার্কো জ্যানসনের ঘাতক স্পেলই (৩/১৬) মৃত্যু ঘটিয়ে দিল যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্নের। জ্যানসেনের আগুনে বোলিংয়ের সামনে অসহায়ভাবে ছটফট করতে থাকা গুরবাজ-গুলবদিনরা যেন কোনও থই-ই পাচ্ছিলেন না। এরপর শেষ বেলায় ৩ উইকেট তুলে নেন তাবরিজ শামসি-ও (৩/৬)। বলা যেতে পারে আফগানদের কফিনে তিনিই শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বলে নয়, যেকোনও ম্যাচেই ৫৬ কোনও রানই নয়। ফলে বোলিংয়ের সময় ন্যূনতম লড়াইটুকুও দিতে পারেননি বিশ্বত্রাস আফগান বোলাররা। কিন্তু যদি অন্ততঃ ১২০ টা রানও তাদের ব্যাংকে থাকত তাহলে ছবিটা অন্যরকম হতেই পারত। বিশেষ করে চলতি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের পারফরম্যান্স এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অতীতের রেকর্ড মাথায় রাখলে সে কথা এখন ম্যাচ শেষেও নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
একটা কথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগান ব্যাটিংকে টেনেছে তাদের টপ অর্ডার-ই। কিন্তু মিডল অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একসময় বিনা উইকেটে ১১৮ থেকে ১৪৮/৭ এ আটকে গিয়েছিল তারা। এছাড়া এমনকি উগান্ডার বিরুদ্ধেও ১৫ তম ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ১৫৪। সেখান থেকে ২০ ওভার শেষে ১৮৩/৫। তবু এরপরেও যে রশিদ খানরা শেষ চার অবধি পৌঁছতে পেরেছিলেন, তার একমাত্র কারণ বোলিং।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিংকঃ https://www.facebook.com/share/434buqMrZ98y4kma/?mibextid=qi2Omg
শুধু সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১১৫ রান ডিফেন্ড করাই নয়, একই কাজ চলতি প্রতিযোগিতায় বারেবারে করে গিয়েছেন রশিদ-নূর-গুলবদিনরা। কিউইদের ১৬০ এর লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে ৭৫ -এই গুটিয়ে দিয়েছেন। অজিদের ১৪৯ রানও তাড়া করতে দেননি। কাজেই, অন্ততঃ ১২০টা রান হাতে থাকলে একই কাণ্ড যে প্রোটিয়াদের সঙ্গেও ঘটাতে পারতেন না, সে কথা জোর দিয়ে বলার উপায় কোথায়? বিশেষ করে, রান চেজে দক্ষিণ আফ্রিকার চোকিংয়ের বৃত্তান্ত তো কারওরই অবিদিত নয়। এমনকি চলতি বিশ্বকাপেই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাত্র ১০৪ তাড়া করতে গিয়ে ৬ উইকেট খুইয়েছিল মার্করামের দল। কাজেই, সেমিফাইনালের মঞ্চে ১২০ তাড়া করা মোটেই সহজ কাজ হত না তাদের জন্য। কিন্তু ১২০ অবধি আফগানিস্তান পৌঁছতে পারলে তো! মাত্র ৫৬ করলে কী আর হবে!