নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়া জোটের সমর্থিত প্রার্থী তথা কংগ্রেস নেতা কে সুরেশকে হারিয়ে ফের একবার লোকসভার স্পিকার হলেন ওম বিড়লা ।(Om Birla)। কোনও জোট সঙ্গীর কেউ নয় বরং লোকসভাতেও ক্ষমতা ধরে রাখল বিজেপি।
এই স্পিকার পদ নিয়েই চলছিল বিজেপি ও তার শরিক দলের মধ্যে টানাপোড়েন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি তাই জোটসঙ্গীদের কথাও ভাবতে হচ্ছিল। ভোটের ফলপ্রকাশের পর টিডিপ প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টানাপোড়েন দেখা যায়। যেহেতু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না তাই স্পিকার পদ নিয়ে ভাবতে হয়েছে বিজেপিকে। শুধু তাই নয় বিরোধী ইন্ডিয়া জোটও বুঝিয়ে দিয়েছে তারা বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না। ঠিক এই কারণেই লোকসভার স্পিকার পদের জন্যও প্রার্থী দিয়েছিল ইন্ডিয়া জোট। যদিও জয়লাভ করতে পারেননি। বিজেপির হাতেই শেষ পর্যন্ত রইল ক্ষমতা। ওম বিড়লা, তিনবারের বিজেপি সাংসদ, মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হন. তিনি একটি বিরল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভয়েস ভোটের মাধ্যমে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী কে সুরেশকে পরাজিত করেন।
এদিন ওম বিড়লা(Om Birla)স্পিকারের চেয়ারে বসেই মিষ্টি হাসেন। সেই মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ওম বিড়লাকে চেয়ারে নিয়ে যাওয়ার সময় সৌহার্দ্য বিনিময় করেন। রাহুল গান্ধী বলেন, “স্পিকার স্যর, বিরোধীদের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। এই সংসদ দেশের কণ্ঠ। সরকারের হাতে ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু বিরোধীরাও দেশের জনগণের কণ্ঠস্বর। বিরোধীরা চায় সংসদ অধিবেশন ভালভাবে হোক। বিরোধীদের কণ্ঠ পৌঁছে দেওয়া জরুরি। আশা করি, আপনি আমাদের কথা বলার সুযোগ দেবেন। সংসদ কত ভালভাবে চলল, সেটা প্রশ্ন নয়। বরং প্রশ্ন হল, বিরোধীদের কণ্ঠস্বর কতটা শোনা হল। এবারের নির্বাচনের ফলাফল বলছে, জনগণ চায় বিরোধীরা সংবিধান রক্ষা করুক। আশা করি, আপনি নিজের দায়িত্ব পালন করবেন।”