চেয়ারম্যানের বাড়িতে নোংরা আবর্জনা ফেলে আসুন, নিদান দিয়ে বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক

0
84

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: প্রায় এক সপ্তাহ পেশাগত দাবিতে পুরসভার সাফাই কর্মীরা ‘কর্মবিরতি’তে রয়েছেন। এমন আবহে শহর জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি হাল। চারিদিকে নোংরা আবর্জনার স্তূপ। দুর্গন্ধে টেকা দায়। সমস্যার সমাধানে শহরবাসীকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নোংরা আবর্জনা ফেলে আসার নিদান দিয়ে বিতর্কে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।

জেলার অন্যতম প্রাচীণ পুরশহর সোনামুখীর যত্রতত্র নোংরা আবর্জনায় ভর্তি। আর এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে শাসক দলকে চাপে ফেলতে আন্দোলনে নেমেছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির নেতৃত্বে পুরসভা সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নেন দলের কর্মীরা। এদিন বিক্ষোভ আন্দোলন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, “শহরে নোংরা আবর্জনা জমে রয়েছে। পুরসভার সাফাই করার কোনও উদ্যোগ নেই। পুর পদাধিকারীদের বাড়ির সামনেটা পরিস্কার রয়েছে। এবার আপনার বাড়ির নোংরা আবর্জনা বাইরে না ফেলে তা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাড়িতে গিয়ে ফেলে আসুন।”

- Advertisement -

স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের দেওয়া এমন নিদান ঘিরে শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদিও এর মাঝে দলীয় বিধায়কের বাতলে দেওয়া বিতর্কিত পথে না হেঁটে বহুচর্চিত ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখাও’ বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে সোনামুখীর আবর্জনা পরিস্কারের কাছে হাত লাগান বিজেপি কর্মীরাই। যার জেরে এমন নিদানের দরুন নিজের দলের অন্দরেও প্রশ্নের মুখে বিধায়ক।

যদিও নিজের বক্তব্যে অনড় সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘ন’মাস হল, তৃণমূল এই পুরবোর্ড তৈরি করেছে। অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের বেতন বাকি। ফলে তারা টানা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। শহরময় জঞ্জালের স্তুপ। আর এসব হচ্ছে তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে।” একই সঙ্গে স্থানীয় সিপিআইএমের সঙ্গেও তৃণমূলের ‘সেটিং’ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর সাফায়, ” এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ একা কেন দূর্ভোগ পোহাবেন, তাই এমন নিদান দিয়েছি।”

যদিও গেরুয়া বিধায়কের এমন হুমকিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সোনামুখী পুরসভার উপ পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন , “ওনার রুচি অনুযায়ী উনি ওই কথা বলেছেন। এখানে একজন কাউন্সিরও বিজেপির নেই।” তবে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন সমস্যা ও জঞ্জাল সমাধানে তারা উদ্যোগী হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

বাসিন্দারা অবশ্য রাজনৈতিক লড়াইয়ে ঢুকতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, লড়াই ঝগড়া বন্ধ করে দ্রুত শহরকে আবর্জনা মুক্ত করা হোক।