নয়া দিল্লিঃ বলা যেতে পারে ডিজিটাল ভারতের সূচনা নরেন্দ্র মোদীর (narendra modi) হাত ধরে। দেশকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার। সে প্ল্যাস্টিক মানি হোক বা 5G প্রযুক্তি, কোন কিছুতেই পিছিয়ে নেই দেশ। উন্নয়নশীল দেশের তকমা মুছে ভারতের তৎপরতা এখন উন্নত দেশে উন্নীত হওয়া। ডিজিটাল ভারতের উদ্যোগটা এবার সেই মোদীর মুখ থেকে শোনা গেল একটু অন্য ধাঁচের কথা।
আরও পড়ুন :নেপথ্যে কি প্রেমের সম্পর্ক, স্কুল ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য
শুক্রবার দিল্লিতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে পরীক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়ে মোদী বলেন, ‘‘প্রত্যেক বাড়িতেই একটা করে ‘টেকনোলজি ফ্রি জ়োন’ রাখা উচিত।’’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, সেই ‘প্রযুক্তি বর্জিত অঞ্চলে’ মোবাইল, কম্পিউটার-সহ সব যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ থাকবে।সপ্তাহে এক দিন কিংবা দিনে কয়েক ঘণ্টা ডিজিটাল মাধ্যম থেকে দূরে থাকার অভ্যাস তৈরি করারও পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন :“লিটিল চ্যাম্পে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে মানুষের এত সাড়া ও ভালোবাসা পাব তা ভাবতেও পারিনি”, বললেন রাফা
আরও পড়ুন :বড়সড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের, গ্রেফতার আন্ত:রাজ্য বাইক চুরি চক্রের ২ দুষ্কৃতী
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজেকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi)। বলেন, ‘‘আমার হাতে কখনও মোবাইল দেখেছেন? আমি কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে খুব সক্রিয়। কিন্তু আমি সে জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি বেঁধে দিয়েছি।’’ প্রকৃতপক্ষে মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেটের অতি ব্যবহার সম্পর্কে পড়ুয়াদের সতর্ক করলেন তিনি। পাশাপাশি অভিভাবকদের পরামর্শ দিলেন পড়ুয়াদের ঘাড়ে প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে না দিতে। প্রসঙ্গত দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ভরসা দিতে এমন ভার্চুয়াল সভা আগেও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার তাঁর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য মোট ৩৮ লক্ষ পড়ুয়া তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। মোট ২০ লক্ষ প্রশ্ন জমা পড়েছিল। এনসিইআরটি-র তরফে সেই প্রশ্নের ঝাড়াই-বাছাই করা হয়েছে। ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও।