বাংলা জাতীয়তবাদের নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত দুই সংগঠন

0
1297

খাস খবর ডেস্ক: বছর খানেক ধরে সমগ্র রাজ্য জুড়ে জেগে উঠেছে বাংলা জাতীয়তাবাদ। যারা রাজ্যের রাজনৈতিক বিষয়ে জড়িয়েছে গভীরভাবে। সরাসরি রাজনৈতিক প্রচার করেছে। বারবার দাবি করেছে বিজেপি বাঙালির শত্রু। পদ্মের প্রতীকে যেক একটিও ভোট না দেয় বাঙালিরা। আর ভোট মিটতেই প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন- ইস্তফা দিলেন সোনওয়াল, অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে গেলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

- Advertisement -

রাজ্যের দুই বাংলা জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাংলাপক্ষ এবং জাতীয় বাংলা সম্মেলন প্রতারণা করেছে। এমনই দাবি করলেন ওই দুই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি। শুরুতে সবই ছিল বাংলাপক্ষের অধীনে। ২০১৯ সালে ওই সংগঠন ভেঙে যায়। তখন জন্ম নেয় জাতীয় বাংলা সম্মেলন। দুই সংগঠনের পাঁচ জন সদস্য এক ব্যক্তির থেকে প্রচুর টাকা ধার নিয়ে মেটায়নি বলে উঠেছে অভিযোগ।

আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে পৌঁছল ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন

যিনি অভিযোগ করছেন তিনি শুরুতে বাংলাপক্ষেই ছিলেন। পরে জাতীয় বাংলা সম্মেলনে যোগদান করেন। সেই ব্যক্তি শনিবার নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে তুলে ধরেছেন তাঁর প্রতারিত হওয়ার কাহিনী। তিনি লিখেছেন, “যে সব পক্ষী এবং সম্মেলনী বাংলাবাদী নেতা ‘বন্ধুরা’ দেড়-দু’বছর আগে আমার থেকে লাখ লাখ টাকা ধার করেছিলেন, তারা এবার আমার টাকা ফেরত দিন। বাবা-মার চিকিৎসার রোজকার ৩০-৪০হাজার পেইমেন্ট হাসপাতালে করার আমার আজ টাকা নেই। সৌজন্য খাতিরে এখনও আপনাদের এখানে ট্যাগ করলাম না। দয়া করে এবার টাকা গুলো ফেরত দিন।”

আরও পড়ুন- করোনা কালে স্থায়ী আমানতের উপর সুদের হার পরিবর্তন করল এই ব্যাঙ্ক

খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই ব্যক্তিগত বিষয়ে ধার দেওয়া টাকার সঙ্গে সংগঠনকে জড়িয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও ওই অভিযোগকারীর পালটা দাবি, “আমার পরিচিতি এদের সবার সাথে বাংলাবাদ থেকেই। ব্যক্তিগত থেকে সংগঠন না। সংগঠন থেকে ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়েছে। কোনো সংগঠনগত ভাবে না দিলেও সংগঠনের রেফারেন্সেই টাকা দিয়েছি। এরা সবাই এই বাংলাবাদের পরিচিতি ব্যবহার করে টাকা না চাইলে দিতাম না। তাই এদের বাংলাবাদী আন্দোলন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।”

আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে দেশজুড়ে লকডাউনের সুপারিশ চিকিৎসক সংগঠনের

একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমার কয়েক লাখ টাকা- তিন পক্ষী ও দুই সম্মেলনীর কাছে আটকে আছে। সম্মেলনের দু’জন আজ আমায় ফোন করেছে টাকা ফেরত না দিলেও। পক্ষীরা তিনজন তাও করেনি। এই পার্থক্যটুকু স্বীকার করি। তবে টাকা ফেরত না পেলে এগুলো নিয়ে কিই বা করব। দেড় বছর ধরে ফোন করে যাচ্ছি পাঁচ জনকেই।”

আরও পড়ুন- মোদী সরকারের গাফিলতিতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, দাবি আন্তর্জাতিক পত্রিকার

বিজেপির বিরোধিতা করলেও এই বিপদের সময়ে পদ্ম শিবিরের নেতা দিলীপ ঘোষের কথা স্মরণ করেছেন ওই অভিযগকারী। তিনি বলেছেন, “দিলীপ ঘোষ যে আমাদের জাতিকে চিটিংবাজ বলেছিল, হয়তো এমনই অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিল। বড় বড় কথা বলে নিজেদের বিপদে টাকা নিয়ে, আমার বিপদে অন্যত্র থেকে ধার নিয়েও ফেরত দিচ্ছে না। এরাই আবার বাঙালিত্বের কথা বলে।” নিজের অভিযোগের যাবতীয় প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।