‘বিজেপিকে খুশি করতে এসব বলছেন’, আব্বাসের পাশে দাঁড়িয়ে আনন্দ শর্মাকে বিঁধলেন অধীর

0
94

খাস খবর ডেস্ক: আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে কলহ শুরু হয়েছে৷ বাম-কংগ্রেসের জোটে ফুরফরা শরিফের পীরজাদাকে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা৷ তাঁর মতে, এতে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতেই ধাক্কা লাগবে৷ সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট করা নিয়ে অধীর চৌধুরীর ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি৷

চুপ থাকেননি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও৷ কড়া কথা শুনিয়েছেন আনন্দ শর্মাকে৷ বহরমপুরের সাংসদ বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের বসকে খুশি করতেই এই কথাগুলি বলছেন আনন্দ শর্মা৷’’ ভবিষ্যতের বস মানে অধীর চৌধুরী ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন আনন্দ শর্মা হয়তো বিজেপির কাছ থেকে রাজ্যসভার টিকিটের টোপ পেয়েছেন৷ তিনি আরও বলেছেন, কয়েকজন কংগ্রেসীদের বলতে চাই প্রধানমন্ত্রীর গুণগান করা বন্ধ করুন এবং নিজেদের ব্যক্তিগত সুযোগসুবিধার উর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা করুন৷

- Advertisement -

রবিবাসরীয় দুপুরে ব্রিগেডের মঞ্চে আব্বাস কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ভিক্ষা নয়, ভাগীদারি চাই৷ মঞ্চে উপস্থিত অধীরের কথাগুলি শুনতে ভালো লাগেনি৷ পরের দিন বাম-কংগ্রেসের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অধীরের গলায় সেই ক্ষোভ কিছুটা ঝরে পড়ে৷

অন্যদিকে ব্রিগেডের মঞ্চে একই সঙ্গে অধীর এবং আব্বাসের উপস্থিতি নিয়ে আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘আইএসএফের মতো শক্তির সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা নেহরু-গান্ধী ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবনার সঙ্গে মেলে না৷ মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের কোনও বাছ-বিচার করা উচিত নয়৷ একই মঞ্চে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি ও সমর্থন বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক৷’’

প্রত্যুত্তরে অধীররঞ্জন বলেছেন, ‘‘কারণ ছাড়াই দলের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন আনন্দ শর্মা৷ দলের ভিতরে থেকে দলের ক্ষতি করার আগে সঠিক তথ্য জেলে নেওয়া উচিত আনন্দের৷ তাঁর উদ্দেশ্য যদি মহৎ হত, তাহলে তিনি আমাকে ফোন করতে পারতেন৷ কেন আইএসএফের সঙ্গে আমরা জোটে গেলাম সেটা তাঁকে বোঝাতে পারতাম৷ কিন্তু উনি তা না করে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ভবিষ্যতের বসকে খুশির করার চেষ্টা করলেন৷’’