করোনার ৭ হাজার মিউটেশনের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

0
6010

নয়াদিল্লি: গতবছরের শুরুর থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। হাজার মৃত্যু মিছিল পেরিয়ে গোটা বিশ্ব ক্লান্ত। কিন্তু নতুন ফর্মে, নতুন স্ট্রেনে, নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে বিশ্বজুড়ে ফের সংক্রমণের সংখ্যা বাড়াচ্ছে করোনা। খুব সম্প্রতি খবর পাওয়া গিয়েছে যে, বিজ্ঞানীরা করোনার মোট ৭ হাজার মিউটেশনের খোঁজ পেয়েছেন। কিন্তু সবগুলো করোনার রূপ নয়। তবে তার মধ্যে আবার কিছু কিছু বেশ ভয়ঙ্কর। যার মধ্যে দুটি ইতিমধ্যেই দেশের দুই রাজ্যে প্রভাব ফেলেছে।

হায়দ্রাবাদের CSIR অর্থাৎ সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির সমীক্ষা বলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আতঙ্কের কারণ রয়েছে। ডিরেক্টর ও সমীক্ষরা সহ লেখক রাকেশ মিশ্র জানিয়েছেন, “৬ হাজার ১৭টি জেনেরোম সিকোয়েন্স পর্যালোচনা করে এই ৭ হাজারেরও বেশি রূপ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তবে করোনার ৭ হাজারটি ভেরিয়েন্ট গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এমন নয়। ভাইরাস যে আশঙ্কা মতো মিউটেশন করছে এই ঘটনাই তার প্রমাণ”।

- Advertisement -

কেরলে এবং মহারাষ্ট্রে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে।করোনার দুটো ভেরিয়েন্টও পাওয়া গেছে। একটি N440K ও অন্যটি E484Q। তবে এই দুটি স্ট্রেন দ্রত সংক্রমণ ছড়ায় কিনা তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এই দুই রাজ্যের কিছু জেলা এই নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত। তেলাঙ্গানার স্বাস্থ্য দপ্তরের এক সদস্য জানিয়েছেন, “এই স্ট্রেন কতটা সংক্রমণ ছড়ায় তা জানার জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। এখন যে তথ্য রয়েছে তা প্রমাণ করে না যে এগুলি দ্রুত সংক্রামক”।

তবে এখন দেশের যেখানে ভাইরাস বেশি সংক্রমণ ঘটিয়েছে সেই সমস্ত এলাকা থেকে নমুনা নেওয়ার কাজ চলছে। সেগুলি বিশ্লেষণ করে তবেই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে যে তার সংক্রমণ ক্ষমতা কত!

প্রসঙ্গত, ভাইরাসের মিউটেশন হল তার নিউক্লিক অ্যাসিড বেস বা অ্যামিনো অ্যাসিড মলিকিউলের মধ্যে পরিবর্তন। ভাইরাসের এই ক্রমাগত পরিবর্তনকে মিউট্যান্ট বলা হয়। জানিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট উপাসনা রায়। মিউটেশন সাধারণ আসল ভাইরাস থেকে অনেকটাই আলাদা হয়।