খাসখবর, কাঁথি: বিজেপির ছোঁয়া লেগেছে৷ তাই গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হল শহীদ বেদী৷ পুরোহিত ডেকে হল পুজার্চনাও৷
মঙ্গলবার দুপুরে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন কাঁথি-১ ব্লকের পিছাবনীর বাসিন্দারা৷ দলের কাঁথি-১ ব্লকের ব্লক সভাপতি রামগোবিন্দ দাস বলেন, ‘ ‘আমাদের এলাকার পিছাবনি শহীদ বেদীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে৷ সেই ঐতিহাসিক শহীদবেদীকে কলূষিত করেছেন শুভেন্দু৷ উনি গান্ধীজির হত্যাকারীদের দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। ওঁর ছোঁয়ায় শহীদের স্মৃতি বিজরিত বেদী অপবিত্র হয়েছে৷ তাই আমরা গঙ্গাজল দিয়ে পুজার্চনা করে শহীদ বেদীকে শুদ্ধিকরণ করলাম৷’’
শহীদ বেদীকে শুদ্ধিকরণ করার পাশাপাশি এদিন থেকেই এলাকায় দলীয় প্রচারও শুরু করে দিল শাসকদল৷ স্বৈরাচারী কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি, বেসরকারী করণ, পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও কৃষক বিরোধী কালা আইনের বাতিলের বিরুদ্ধে এদিন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করে তৃণমূল।
তার আগে শহীদ বেদীতে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হয়। ছিলেন পুরোহিত ডেকে পূজো অর্চনা করে শুদ্ধিকরণ করেন। পাশাপাশি শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন কাঁথি ১ ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি রামগোবিন্দ দাস। এরপর একে পর এক তৃনমূল নেত্বয়রা শ্রদ্ধা জানায়।
প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারী পিছাবনীর শহীদ বেদীতে মালা দিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কাণ্ডারী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিন শহীদবেদীতে মাল্যদানের পর শুভেন্দুর নেতৃত্বে এলাকায় পরিবর্তন যাত্রার মিছিলও করা হয়৷
সেই মিছিল থেকে শুভেন্দু ডাক দিয়েছিলেন, ‘‘এলাকা থেকে তৃণমূলকে নির্মূল করার৷’’ এদিন তারই পাল্টা ডাক দিলেন তৃণমূলের নেতারা৷ জানিয়ে দিলেন, ‘‘এবারের ভোটে এলাকায় একটি ভোটও বিজেপি পাবে না৷ বিশ্বাসঘাতকের দলকে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন৷’’
যদিও তৃণমূলের এদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বর দাবি, ‘‘ওরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে৷ বিজেপির বিরুদ্ধে বলার মতো ওদের স্টকে কোনও ভাষা নেই৷ তাই এসব বুজরুকির আশ্রয় নিচ্ছে৷ কিন্তু লাভ হবে না৷ এলাকায় এবার পদ্মের বিকাশ হবেই৷’’