খাস খবর, হাওড়া: রাম না জন্মাতেই রামায়ণ! হাওড়ার শিবপুরে শাসকদলের হালটাও যেন সেরকমই৷
ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি৷ দলের তরফ থেকেও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি৷
অথচ এলাকার দেওয়াল জুড়ে জ্বলজ্বল করছে- একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের প্রার্থীর নাম৷ স্বভাবতই চরম অস্বস্তিতে দলের স্থানীয় নেতৃত্বরা৷ একাংশ বিষয়টিকে অত্যুৎসাহী কর্মীদের আবেগের দোহাই দিলেও দলের একটি অংশ এই পরিস্থিতির পিছনে ষড়যন্ত্রই দেখতে পাচ্ছেন৷
এদিন এলাকার একাধিক দেওয়ালে দেখা গিয়েছে- তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে জটু লাহিড়ীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন। দেওয়ালে লেখা রয়েছে, “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শিবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জটু লাহিড়ীকে ঘাসের উপর জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিন।”
দলের তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই এভাবে একতরফাভাবে জটু লাহিড়ীর সমর্থনে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে। সঙ্গত কারণেই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন দলের জেলা সদরের চেয়ারম্যান অরূপ রায়৷ তাঁর সাবধানী বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি দল দেখবে।’’
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাওড়ায় নিজের কেন্দ্রে এক সাংবাদিক বৈঠকে দলের ঘোষণার আগেই আসন্ন বিধানসভায় প্রার্থী হিসাবে নিজের নামে ঘোষণা করে ফেলেন শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে জানি বিধায়ক হিসেবে আমি আবার আসব।” নাম না করে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধেও সরব হন হাওড়া শিবপুরের প্রবীণ এই বিধায়ক। বলেন, ‘‘জেলা নেতৃত্ব যা বলবে তাই করব। অন্য কারও কথায় দলীয় কাজ করব না।’’
সাংবাদিক বৈঠকের পর ২৪ ঘণ্টাও পেরাল না৷ তারই মধ্যে জটু লাহিড়ীর নামে যেভাবে দেওয়াল লিখন শুরু হল, তাতে দলের একাংশের ষড়যন্ত্রের হাত দেখছেন শীর্ষ নেতৃত্ব৷ তাঁদের মতে, জটুবাবু নিজের প্রত্যাশার কথা বলেছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে৷
সেটাকেই পরিকল্পিতভাবে দেওয়াল লিখনের রূপ দিয়ে আসলে তাকেই বেইজ্জতির চেষ্টা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষণার আগেই এভাবে দেওয়াল লিখনে প্রার্থীর নামকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিরোধীরা হাসাহাসি শুরু করেছেন৷ ফলে প্রেস্টিজ ইস্যুতে রীতিমতো অস্বস্তিতে এলাকার শাসকদল৷ শাসকের সেই অস্বস্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে মুখে মুখে ঘুরছে, রাম না জন্মাতেই রামায়ণ লেখার গল্প!