তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি৷ অথচ তারই মাঝে প্রচারপর্বে একে অপরকে টেক্কা দিতে মরিয়া! চলছে দেওয়াল দখলের প্রতিযোগিতাও৷ ভাবখানা- বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচগ্র মেদিনী!
বাঁকুড়া শহরে প্রবেশ করলে সেটা বেশ ভালভাবেই মালুম হবে৷
ভোট বাজারে ফিরে আসছে এক সময়ের জনপ্রিয় কার্টুন আর ছড়া সংস্কৃতি৷ শহরের একের পর এক দেওয়াল ভরে উঠছে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আর ছড়ায়। সঙ্গে যোগ হয়েছে, এবারের ভোটের জনপ্রিয় স্লোগান-‘খেলা হবে’!
শাসক তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাঁকুড়া পুরসভার ১ নম্বরের ওয়ার্ডের দশেরবাঁধ, গোপীনাথপুরের একের পর এক দেওয়াল ‘খেলা হবে, খেলবো আমরা ভোটের মাঠে ময়দানে’, ‘জিতবো আমরা ২১ শে নির্বাচনে, দেখবে তোমরা চুপটি করে’।
কিংবা, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে’ স্লোগান৷ পিছিয়ে নেই বিরোধী বিজেপিও। শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের লোকপুর, কানকাটায় শাসক দলকে বিঁধে গেরুয়া শিবির কার্টুন সহযোগে দেওয়াল লিখছে, ‘খেলা হবে, খেলবো আমরা মাঠে, ময়দানে ভোট জিতবো আমরা, তাকিয়ে দেখবে তোমরা, সোনার বাংলা গড়বো আমরা’।
এবিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর দেবাশীষ লাহা বলেন, ‘‘আমাদের দলে প্রচুর স্ট্রাইকার। আমরাই গোল করবো, আমরাই জিতব। বিজেপি যতই খেলা হবে’র দাবি করুক না কেন ওদের দলে খেলোয়াড় কোথায়? সব স্ট্রাইকার আমাদের। দেশের সেরা গোল রক্ষক তো আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একস্ট্রা প্লেয়ার নিয়ে ওরা (বিজেপি) যতোই খেলতে নামুক শেষ রক্ষা করতে পারবে না৷’’
অন্যদিকে বিজেপি নেতা ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর নীলাদ্রি দানা বলেন, ‘‘যারা তৃণমূলে থেকে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়েছিল, তারাই এখন বিজেপিতে। তৃণমূল যতোই দেওয়াল লিখুক, সেই দেওয়াল লিখন পড়ার কেউ নেই। এবার বিজেপি মাঠ জুড়ে খেলবে ও শেষ হাসি হাসবে৷’’
দু’পক্ষেরই দাবি খেলা হবে এবং খেলবেন তাঁদের খেলোয়াড়েরা৷ বাঁকুড়াও অডিয়েন্সও বলছেন, হ্যাঁ এবার সত্যি খেলা হবে- ফুলে ফুলে৷