খাস খবর, কলকাতা: ফের দু’ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেল রাজীব মামলা৷ সারদা কাণ্ডে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷ গত বছরের ডিসেম্বরা করা সেই আবেদনের শুনানি ছিল আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার৷
অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ রয়েছে রাজীবের বিরুদ্ধে৷ আবেদনেও সেই অংশটিও জুড়ে দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা৷ তার পরেও শুনানী ফের দু’সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায় রাজীব শিবির যেমন স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন তেমনই ফের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ধাক্কা খেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই মামলা বেশ কয়েকবার আদালতে তালিকাভূক্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। এদিন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এস আবদুল নাজির এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
শীর্ষ আদালতের তালিকার ২ নম্বরে নাম ছিল মামলাটির৷ ফলে মনে করা হচ্ছিল, আজ শুনানী হবেই৷ সেই মত দু’তরফই প্রস্তুতি নিয়ে আদালতে হাজিরও হয়েছিলেন৷ কিন্তু এজলাস শুরুর পর জানা যায়, মামলাটি ফের দু’সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
২০১৩ সালে সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় রাজ্যের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ রয়েছে৷ সারদা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী বারে বারে সেই অভিযোগও করেছেন৷ এ
মনকি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই শিলঙে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েও রাজীব বহু তথ্য প্রকাশ করতে চাননি বলেই দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার৷
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই ২৭৭ পাতার হলফনামা জমা দিয়েছে। সূত্রের খবর, ‘সিট’-এর অন্যতম তদন্তকারী হয়েও রাজীব কুমার কী ভাবে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন, তা ওই হলফনামায় বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা৷
তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের গঠিত সিট দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার পরিবর্তে তদন্তের নামে সবকিছু তথ্য লোপাটের প্রচেষ্টা চালিয়েছে৷ তদন্তকারী দলের প্রধান হয়ে রাজীব স্বয়ং এই কাজ করিয়েছেন৷
সিবিআইয়ের এক আইনজীবী বলেন, ‘‘বেআইনি অর্থ লগ্নি মামলায় অনেকখানি অগ্রগতি হয়েছে৷ রাজীবকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারলে শীঘ্রই তদন্তর কাজ শেষ করে ফেলা যেত৷’’ ।ওই আইনজীবীর দাবি, রাজীবকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে তাঁর সূত্রে অনেক রথী-মহারথী জড়িয়ে যেতে পারেন। যদিও মামলাটি দু’সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায় স্বস্তির শ্বাস শাসক শিবিরে৷