খাস খবর, শিলিগুড়ি: ফের পাহাড়ে ধাক্কা খেল বিজেপি৷ পাহাড়ে গিয়ে কালো পতাকা দেখতে হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে৷ দেখালেন বিমলপন্থী মোর্চা সমর্থক৷ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকালে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দার্জিলিংয়ের ঘুম স্টেশন এলাকায়৷
কারণ, খাতায় কলমে পাহাড়ে এখনও একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে গেরুয়া শিবিরের৷ ফলে ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতারা৷ দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দলের রাজ্য সভাপতির সফরসূচি ফাঁস হল কি করে?
রাজ্যজুড়ে পরিবর্তনের রথ বের করছে গেরুয়া শিবির৷ উত্তরবঙ্গ থেকে যার সূচনাও করেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এদিন সেই উত্তরে পরিবর্তনের রথযাত্রার কর্মসূচিতে যোগ দিতে ভোরেই কলকাতা থেকে বাগডোগরা পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি৷
সড়ক পথে দার্জিলিং যাওয়ার পথে ঘুম স্টেশনের কাছে তাঁর কনভয়কে কালো পতাকা দেখান বিমলপন্থীরা৷ হয় বিক্ষোভও৷ স্লোগান ওঠে, ‘গো ব্যাক৷’’ বিক্ষোভকারীদের দাবি, পাহাড় থেকে টানা তিন বার সাংসদ পেয়েছে বিজেপি৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি৷ এলাকার কোনও উন্নয়নই করেননি বিজেপি সাংসদ৷
যদিও বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপবাবু৷ তাঁর কথায়, ‘‘ওরা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ তাই হতাশা থেকে এসব করছে৷’’ একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘এসব করে বিজেপির বঙ্গ যাত্রা থামানো যাবে না৷ একুশে বাংলার সরকার আমরাই গড়ব৷ মানুষ তা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন৷’’
পাল্টা হুঙ্কার ধেয়ে এসেছে বিমলশিবির থেকেও৷ তাঁদের সাফ কথা, ‘‘পাহাড়ের কোনও উন্নয়ন করেনি বিজেপি৷ তাই ওঁদের ধারাবাহিক বয়কটের কর্মসূচি পালন করা হবে৷’’
প্রসঙ্গত, গোর্খা জনমুক্তির নেতা বিমল গুরুং তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে পড়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে থাকা ৭৯টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য উত্তরের আদালতে আবেদনও জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী৷
একাধিক খুন, অপহরণ, সংঘর্ষের মামলায় অভিযুক্ত বিমলকে স্রেফ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তৃণমূলের সরকার কিভাবে ব্যবহার করছে, এবার তা নিয়েই পাহাড়ে পাল্টা আন্দোলনের ছক কষছে বিজেপি৷