কলকাতা: নির্বাচনের আগে বাংলা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যের দুই জনপ্রিয় দল। ভোটের আগে নানান কার্যকলাপে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। যেন এক সে বাড় কার এক। বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি আরও একবার নতুন চমক নিয়ে হাজির হল বিজেপি। তাদের দলে মানুষকে টানতে নানা কৌশল প্রয়োগ করছে।
বিজেপির পরিকল্পিত ‘সোনার বাংলা’-য় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের আমূল পরিবর্তন সঙ্গে প্রভূত উন্নতি হবে, এমনটাই দাবি ভারতীয় জনতা পার্টির। এই কারণেই সোমবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন টলি তারকারা।
সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা তথা জনপ্রিয় গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। তাই এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় ছিল টলিপাড়ার একটি বড় অংশ। এর ফলে আবার কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা গেল শাসক শিবিরের।
সোমবার শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন আয়োজন করে এই বৈঠকের। এদিনের এই বৈঠকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকারাও উপস্থিত ছিলেন। শিল্পীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে সায়নী ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, আবির চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
এঁরা ছাড়াও, বামপন্থী পরিচালক অনীক দত্তও হাজির ছিলেন বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন অঞ্জনা বসু, চূর্ণী গাঙ্গুলি, নিসপাল সিং রানে, মহেন্দ্র সোনি, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, মমতা শঙ্কর, গৌতম ঘোষ, কাঞ্চনা মৈত্র প্রমুখ।
পাশাপাশি এদিন নামজাদা পরিচালক অরিন্দম শীলকে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে। এর পরেই জোর জল্পনা শোনা যায় টলিউডের অন্দরে তাহলে কি এবার অরিন্দম শীল বিজেপিতে!!!
তবে কি কারণে এই সাক্ষাৎ সেই বিষয়ে তিনি বলেন,” আমার কোনও মতেই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে নেই। আমি সিনেমা নিয়েই থাকতে চাই, সামনে অনেক কাজ আমার। শঙ্কু মাঝেমাঝেই আসে আমার সঙ্গে আড্ডা মারতে তাই আজও এসেছিল। এর মানে এটা নয় যে আমি রাজনীতিতে যাচ্ছি।”
তিনি জানান, রাজনীতি ছাড়াও মানুষের জন্য কাজ করা যায়। আমি আমার সিনেমা এবং সমাজসেবামূলক কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আমার পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব নয় রাজনীতিতে আসা।
সোমবারের এই বৈঠক শুধুমাত্র সিনেমার কথা ভেবে আয়োজিত হলেও ভোটের মুখে একঝাঁক তারকার এভাবে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।