লখনউ: মিটে গিয়েছে অযোধ্যার জমি বিবাদ। বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক অযোধ্যার অন্যত্র গড়া হবে বাবরি মসজিদ। এবার সেই একই পথে হেঁটে মথুরা থেকে মসজিদ এবং ইদগাহ সরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেল।
আরও পড়ুন- তৃণমূল যোগের জল্পনা বাড়িয়ে বামপন্থী সায়নীর মুখে মমতার প্রশংসা
মথুরা হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। যাদব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কৃষ্ণের জন্মস্থানে রয়েছে ইদগাহ এবং সুবিশাল মসজিদ। সেই জায়গা থেকে মসজিদ এবং ইদগাহ সরিয়ে এলাকাটির দখল নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে যাদব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যেই মসজিদ কমিটির কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি মথুরা নিয়ে আইনি লড়াই বেশ কয়েকদিন আগেই শুরু কড়েছিল যাদবেরা। মসজিদ কমিটির পাশাপাশি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের কাছেও আদালতের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এবার সেই প্রক্রিয়ায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল যাদব সম্প্রদায়ের সদস্যরা। মথুরা হাইকোর্টে মসজিদ এবং ইদগাহ সরিয়ে ফেলার জন্য পিটিশন দাখিল করলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের মতই শুরু হচ্ছে সত্যজিৎ রায় পুরস্কার
যাদব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মথুরা কৃষ্ণের জন্মস্থান। যে জায়গায় মসজিদ এবং ইদগাহ নির্মাণ করা হয়েছে তা শ্রীকৃষ্ণের বংশধরদের অধীনস্থ। অবিলম্বে তা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। শ্রীকৃষ্ণের প্রত্যক্ষ বংশধরদের নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন যাদব সম্প্রদায়ের সদস্যরা। ১৩ একরের কিছু বেশি জমিতে ওই মসজিদ এবং ইদগাহ রয়েছে। সেই জমি নিয়েই রুজু করা হয়েছে মামলা। আগামী মার্চ মাসে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে দীর্ঘদিনের আইনি লড়াই চলেছে। অবশেষে ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় প্রদান করে। ২০২০ সালের অগস্ট মাসে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ভূমি পুজো করা হয়। সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে অনেক জলঘোলা হয়েছে। সেই যাত্রা সবে শুরু হল মথুরায়। এই জল কতদূর গড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন- বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সভাতে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন মনোজ তিওয়ারি